গত আসরের মতো এবারো বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ অনুষ্ঠিত হবে দুই ভেন্যুতে। এবার ঢাকার ভেন্যু ঠিক থাকলেও বদলে গেছে ঢাকার বাইরের ভেন্যু। যশোরের পরিবর্তে ভেন্যু হবে সিলেট। এরইমধ্যে বাফুফে থেকে গ্রিনসিগন্যাল পেয়ে স্টেডিয়াম প্রস্তুত করতে মাঠে নেমেছে সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থা। সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও বাফুফে সদস্য মাহিউদ্দিন আহমেদ সেলিমের দাবি নির্ধারিত সময়ের আগে তৈরি হয়ে যাবে সিলেট ভেন্যু।
১ থেকে ১২ই অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের পঞ্চম আসর। দুই গ্রুপে দল থাকবে ৬টি। এবার দল নির্বাচনে একটু ভিন্ন কৌশল নিয়েছে বাফুফে। এশিয়ার ৫ অঞ্চল থেকে ৫ দল এবং বাংলাদেশ থাকবে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে।
এবারের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের স্বত্ব বিক্রি করা হয়েছে কে. স্পোর্টস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে। ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিপত্রও সম্পন্ন করেছে বাফুফে। প্রতি জানুয়ারিতে এ টুর্নামেন্টের ঘোষণা দিয়েও তা কার্যকর করতে পারেনি বাফুফে। টুর্নামেন্টের সর্বশেষ আসর বসেছিল ২০১৬ সালে। মাঝে এক বছরের বিরতি। দুটি অতিথি দলের নাম চূড়ান্ত হয়েছিল আগেই। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন নেপাল, পশ্চিম এশিয়ার ফিলিস্তিন ও আসিয়ান অঞ্চলের ফিলিপাইনের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে অংশ নেয়া নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন বাফুফে কর্মকর্তারা। সাউথ এশিয়া, আসিয়ান, মধ্য এশিয়া, পশ্চিম এশিয়া ও পূর্ব এশিয়া- এই ৫ অঞ্চল থেকে ৫টি অতিথি দল বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে নিশ্চিত করতে চায় বাফুফে। নেপাল ও ফিলিস্তিনসহ ৮টি দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাফুফে। এবার দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে গুরুত্ব কম দেয়া হয়েছে। একমাত্র নেপালকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। এর বাইরে ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, ওমান, বাহরাইন, তাজিকিস্তান ও কিরগিজস্তানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দলগুলোর সম্মতি জানানোর শেষ সময় ১৬ই আগস্ট। এদিকে ভেন্যু চূড়ান্ত করার বিষয়ে বাফুফে সদস্য ও সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহিউদ্দিন আহমেদ সেলিম বলেন আমাকে বাফুফে সভাপতি বলে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের গ্রুপ পর্বে সবগুলো ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে। আমি সেভাবে সিলেট স্টেডিয়ামকে প্রস্তুত করছি। অতীতে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের আয়োজনে সফলতার কথা উল্লেখ করে সেলিম বলেন, রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থার মধ্যেও আমরা সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপ সফল ভাবে আয়োজন করেছি। আশা করছি জাতির জনকের নামে এই টুর্নামেন্টও সফলভাবে আয়োজন করতে পারবো। স্টেডিয়ামে প্রস্তুতি নিয়ে সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের জন্য উপজেলা কাপ ও প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগ পিছিয়েছি। টুর্নামেন্টের আগ পর্যন্ত এখানে কোনো ধরনের খেলাধুলা আর অনুষ্ঠিত হবে না। এই সময়ের মধ্যে আমরা মাঠটি প্রস্তুত করে ফেলবো। আশা করছি এই সময়ের মধ্যে স্টেডিয়ামে ড্রেনেজ সমস্যাও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সমাধান করে দিবে।
ছয় বছর আগে বাংলাদেশ নেপাল ম্যাচের মধ্যদিয়ে অভিষেক ঘটে সিলেট স্টেডিয়ামের। ওই ম্যাচে গ্যালারির ভেঙে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করে হাজার হাজার দর্শক। এরপর বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের প্রথম আসরের বেশ কয়েকটি ম্যাচ সফল ভাবে অনুষ্ঠিত হয় স্টেডিয়ামটিতে। সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপেও উপচে পড়া দর্শক লক্ষ্য করা গেল স্টেডিয়ামটিতে। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপেও তেমনটাই হবে বলে আশা করছেন সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার এই কর্মকর্তা।