× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জলবিদ্যুৎ আমদানিতে বাংলাদেশ-নেপাল সমঝোতা

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১১ আগস্ট ২০১৮, শনিবার

নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যে একটি সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে। দেশের বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বাড়াতে নেপালের সঙ্গে এ সমঝোতা করা হয়েছে। সরকার আশা করছে এর মধ্য দিয়ে নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি প্রক্রিয়া বেগবান হবে। গতকাল দুপুরে কাঠমান্ডুতে নেপালের জ্বালানি, পানি ও সেচ মন্ত্রণালয়ে ওই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন দুই দেশের মন্ত্রী। বাংলাদেশের পক্ষে স্মারকে স্বাক্ষর করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও নেপালের পক্ষে স্বাক্ষর করেন জ্বালানি মন্ত্রী বর্ষা মান পুন অনন্ত। নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতসহ দুই দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এই সমঝোতার আওতায় নেপাল থেকে ভারত হয়ে জলবিদ্যুৎ আমদানি ছাড়াও নেপালের বিদ্যুৎ খাতে বাংলাদেশের সরকারি বা বেসরকারি কোম্পানির বিনিয়োগের বিষয়গুলো রয়েছে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দীর্ঘ অপেক্ষার পর নেপালের সঙ্গে জলবিদ্যুৎ আমদানির এই সমঝোতা চুক্তি হলো। সরকারের মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে দৈনিক ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তার একটি অংশ আসবে আমদানি করা বিদ্যুৎ থেকে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নেপালে ৪০ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে বাংলাদেশের সরকারি বা বেসরকারি কোম্পানিগুলো ভবিষ্যতে বিনিয়োগ করে সে বিদ্যুৎ দেশে নিতে পারবে। তাই দুই দেশেরই উন্নয়নে সহযোগিতা আরো বাড়ানো দরকার। বিদ্যুৎ, যোগাযোগসহ সব ক্ষেত্রেই এই সহযোগিতার প্রয়োজন। নসরুল হামিদ বলেন, নেপালের সঙ্গে এই চুক্তিতে আমরা অল্প টাকায় বিদ্যুৎ পাব। আগামী ১০ বছরের মধ্যে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। আর নেপালের জ্বালানি মন্ত্রী বর্ষা মান পুন অনন্ত বলেন, নেপাল এখন ভারত থেকে ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করলেও আগামী ১০ বছরে ১৫ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে যার বাস্তবায়ন ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার নসরুল হামিদ নেপালে যান। গতকাল সকালে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরে দেশটির জ্বালানি মন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করা হয়। বিদ্যুৎ খাতে দুই দেশের সহযোগিতা বাড়াতে এই সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ এবং একটি স্টিয়ারিং কমিটি কাজ করবে। জলবিদ্যুৎ তুলনামূলকভাবে সস্তা ও পরিবেশবান্ধব হলেও বাংলাদেশে এর উৎপাদন সম্ভাব না হওয়ায় নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে এ বিষয়ে সহযোগিতা বাড়াতে কাজ চালিয়ে আসছে বর্তমান সরকার। নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে গতবছর ভারতের একটি কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতাও হয়েছে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে ভারত থেকে বহরমপুর হয়ে ৫০০ মেগাওয়াট এবং ত্রিপুরা থেকে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে। ভবিষ্যতে ভারত থেকে আরো বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর