রংপুর মহানগর জাতীয় ছাত্রসমাজের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামসহ তিন নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। নেতাকর্মীদের দাবি, পুলিশ ওই তিন নেতাকে নির্যাতন করেছে। এর প্রতিবাদের  সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রোববার সকালে শহরের প্রাণকেন্দ্র জাহাজ কোম্পানীর মোড় এলাকায় প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন তারা। এ সময় নগরীর প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ এসে নির্যাতনকারী ধাপ পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই আব্দুল হককে প্রত্যাহার করার আশ্বাস দিলে আড়াই আবারো যান চলাচল শুরু হয়।
পুলিশ ও দলীয় সূত্র জানায়, শনিবার রাতে নগরীর টার্মিনাল এলাকায় সড়ক মেরামতের কাজ তদারকি করছিলেন কারমাইকেল কলেজ ছাত্রসমাজের সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম ও মহানগর ছাত্র সমাজের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল। সড়ক নির্মাণাধীন থাকায় সেখানে বাঁশ দিয়ে বেরিকেড দেয়া ছিল। রাত দেড়টার দিকে একটি ট্রাক দ্রুত গতিতে ওই সড়কের প্রতিবন্ধতা ভেঙে চলে গেলে আরিফুল ও রাসেল ট্রাকটিকে আটক করার জন্য ট্রাকের পেছনে রংপুর মেডিকেল মোড়ে যান। এ সময় ট্রাক থামিয়ে চালকের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হলে ঘটনাস্থলে ধাপ পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই আবদুল হক গিয়ে ছাত্রসমাজ নেতা আরিফুল ও রাসেলকে বেদম মারধর করেন। ঘটনা জানতে পেরে ছাত্র সমাজ মহানগর সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সেখানে গেলে পুলিশের ওই কর্মকর্তা তাকেও মারধর করে এবং তিন ছাত্র নেতাকে হাতকড়া পরিয়ে ডাকাত বলে নির্যাতন করে কোতয়ালি থানায় নিয়ে যান।
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্র সমাজের তিন নেতাকে মুক্তি এবং নির্যাতনকারী পুলিশ কর্মকর্তা এটিএসআই আব্দুল হককে প্রত্যাহারের দাবিতে রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় সড়ক অবরোধ করে দলীয় নেতাকর্মীরা। বেলা ১১টার দিকে মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসিরও অবরোধে অংশ নিয়ে দায়ী পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তি দাবি করেন। পরে রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলে এলাহী ঘটনাস্থলে এসে দায়ী পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তি দেয়ার আশ্বাস দিলে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অবরোধ তুলে নেন নেতাকর্মীরা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলে এলাহী জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।