মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চলছে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি! হাতি দিয়ে গাড়ি থামিয়ে নেওয়া হচ্ছে টাকা। এমন অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজি যেন শ্রীমঙ্গলে এখন নিত্য দিনের বিষয় হয়ে গেছে। প্রতিদিনই শ্রীমঙ্গলের কোনো না কোনো এলাকায় চোখে পড়ছে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির এমন দৃশ্য। নতুন এই অভিনব চাঁদাবাজি কারণে অতিষ্ঠ হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছে শহরবাসী।
যত্রতত্র হাতি দাঁড় করিয়ে টাকা আদায়ের কারণে বিড়ম্বনায় পড়েছেন ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। হাতি শুঁড় দিয়ে এমনভাবে মানুষ ও যানবাহন আটক করছে যে ভুক্তভোগী ইচ্ছার বিরুদ্ধে টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। শ্রীমঙ্গল শহরে কেনাকাটা করতে আসা জাহিদ আহমেদ জানান, তিনি হাতিকে ১০ টাকা করে দিয়েছেন। কারণ হাতি শুঁড় দিয়ে চেপে ধরছে।
১০ টাকার কম দিলে তা গ্রহণ করছে না। ১০ টাকা দিলে হাতিটি পিঠে বসে থাকা মাহুতকে শুঁড় উঁচিয়ে টাকা দিয়ে দেয়। যা চাঁদাবাজির শামিল। এ ক্ষেত্রে নিস্তার পাচ্ছে না পথযাত্রীরাও।
রোববার সকালে শহরের হবিগঞ্জ রোডস্থ চোখে পড়ে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির এমন দৃশ্য। হবিগঞ্জ রোডে দুটি বিশাল আকৃতির হাতি। হাতির উপর মাহুত বসে আছেন। হাতি দাঁড় করিয়ে দোকান বা গাড়ি থেকে ১০ থেকে ২০ টাকা করে আদায় করছেন।
সাধারণ মানুষ, পথচারী ও ব্যবসায়ীদের থেকে জানা যায় হাতি দিয়ে গাড়ি আটকে ও প্রতিটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে এসব টাকা আদায় করে। চাঁদাবাজির এই দৌরাত্ম থেকে বাদ পড়ছে না ফুটপাতের সামান্য আয়ের ব্যবসায়ীরাও।
হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির এমন দৃশ্য দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে মো. রশিদ নামের এক পথচারী বলেন, প্রায়ই বিভিন্ন জায়গায় এমন চিত্র দেখছি। এটা তো এক ধরণের চাঁদাবাজি। এটা কি দেখার কেউ নেই? গাড়ি আটকিয়ে টাকা নিয়ে এরা তো একধরণের নৈরাজ্য চালাচ্ছে। কেউ আবার বলছেন, বন্য হাতির প্রতি কৌতুহল বসত অনেকটা মানবিক কারণে ১০-২০ টাকা দিয়ে থাকেন। এটা তেমন দোষের কিছু নয়।
এই হাতি নিয়ে চলাচলের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে সড়কে যানজট।
পরিবহন চালকরা জানান আমরা সড়কে গাড়ি নিয়ে শহরের ভিতরে ঢুকার আগেই রাস্তায় হাতি গাড়ির সামনে এসে দাড়িঁয়ে শুর এগিয়ে দেয়। টাকা না দিলে সামনে থেকে সরে না। বাধ্য হয়ে আমরা ১০ থেকে ২০ টাকা দিতে হয় যাতে জ্যাম খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী না হয়। প্রায়ই আমরা এ ভোগান্তিতে থাকি।