× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শিক্ষিত চোর

অনলাইন

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) আগস্ট ১২, ২০১৮, রবিবার, ৮:৪৬ পূর্বাহ্ন

ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনার্স পাস করেছেন। চাকুরিও করেছেন পরিবহন সেক্টরে। তবে পেশায় তিনি এখন চোর। এমন পেশাদার এক চোরসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছেন চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানার পুলিশ। আজ রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগরীর স্টেশন রোডের হোটেল ফেভার ইন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। অনার্স পাস করা চোরের নাম নুর মোহাম্মদ শওকত। তার বাড়ী চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় বলে জানান কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসীন। আর অপর চোরের নাম সুমন।

ওসি মহসীন জানান, নুর মোহাম্মদ শওকত নগরীর প্রতিষ্ঠিত বড় বড় হোটেলগুলোতে সুকৌশলে চুরি করে আসছে।
সুমন তার সহযোগী। তার আরও সহযোগী রয়েছে। সবাইক গ্রেপ্তারের চেস্টা চলছে।

তিনি জানান, নুর মোহাম্মদ শওকত জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন, তিনি নগরীর হোটেল ফেভার ইনে চুরি করতে রুম ভাড়া নিয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনি একটি ল্যাপটপ, দুইটি মোবাইল ও নগদ ১৬ হাজার টাকা চুরি করেন। যা উদ্ধার করা হয়।
শওকত আরও স্বীকার করেন, হোটেল ফেভার ইন, লর্ডস ইন, টাওয়ার ইনের মতো মানসম্মত হোটেল গুলোতে, যেখানে সরকারি-বেসরকারি উচ্চ শ্রেণীর চাকুরিজীবি, ব্যবসায়ী, ব্যাংকাররা থাকেন সেখানে তিনিও রুম ভাড়া নেন। এরপর রুমগুলো র‌্যাকি করে ল্যাপটপ, মোবাইল ও টাকা পয়সা চুরি কওে সটকে পড়েন।

জিজ্ঞাসাবাদে শওকত বলেন, তিনি ব্যবস্থপনা বিষয়ে অনার্স পাস করেছেন। সৌদিয়া পরিবহনে কিছুদিন চাকুরিও করেছেন। সেখানে থাকতেই ছোটখাট চুরিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ধীরে ধীরে চাকুরি ছেড়ে তিনি চুরিকেই প্রধান পেশা হিসেবে বেছে নেন।

চুরিকে পেশা হিসেবে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে শওকত বলেন, গ্রাজুয়েশন করে চাকুরির জন্য মামা-খালুর পেছনে ছুটতে হয়। তিনি কারও পেছনে ছুটেননি। স্বাধীন পেশা হিসেবে চুরিকে বেছে নিয়েছেন। উল্টো তার পেছনে দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ ছুটছে।

ওসি মহসীন বলেন, রবিবার সকালে স্টেশন রোডের হোটেল ফেভার ইনের একটি কক্ষ থেকে একটি ল্যাপটপ, দুইটি মোবাইল ও নগদ ১৬ হাজার টাকা চুরি হওয়ার বিষয়ে অভ্যর্থনা ডেস্কে অভিযোগ করেন এক ব্যক্তি। হোটেল ফেভার ইন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানানোর পর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চুরির বিষয়ে নিশ্চিত হয়। এরপর শওকতকে গ্রেপ্তার করা হলেও সুমন পালিয়ে যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শওকত চুরির সঙ্গে সুমন থাকার কথা বলেন। পরে অভিযান চালিয়ে সুমনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তিনি মাদক সরবরাহ ও সেবনের কথাও স্বীকার করেন। এ কাজে তার সহযোগিদের নামও প্রকাশ করেন। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর