× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিশিষ্ট বামপন্থী নেতা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের জীবনাবসান

অনলাইন

কলকাতা প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) আগস্ট ১৩, ২০১৮, সোমবার, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন

ভারতের বিশিষ্ট বামপন্থী নেতা ও লোকসভার সাবেক স্পীকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের জীবনাবসান ঘটেছে। দীর্ঘ রোগ ভোগের পর সোমবার সকাল আটটা নাগাদ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছাড়াও কিডনি কাজ করা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ডায়ালিসিস চলাকালীনই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তিনি ছিলেন একজন খ্যাতনামা আইনজীবীও। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন সবকটি বামপন্থী দল। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও শোক প্রকাশ করেছেন।
ভারতের মার্কসবাদী কমিউনিষ্ট পার্টির এই সাবেক সদস্য ১০ বার সাংসদ হয়েছিলেন। তবে একবারই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। তিনি পাঁচ বছর লোকসভার স্পীকারের দায়িত্ব সামাল দিয়েছেন দক্ষতার সঙ্গে। আর এই সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মতবিরোধের কারণে সিপিআইএম থেকে তিনি বহিষ্কৃত হয়েছিলেন।

সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় ১৯২৯ সালের ২৫শে জুলাই আসামের তেজপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বাবা নির্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন খ্যাতনামা আইনজীবী এবং অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার স্বনামধন্য নেতা। সোমনাথের পড়াশোনা কলকাতাতেই। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শেষ হতেই সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় চলে গিয়েছিলেন বিলেতে। কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক হন ১৯৫২ সালে। স্নাতকোত্তর ১৯৫৭ সালে। আইন পাশ করে দেশে ফিরে এসেছিলেন তিনি।  সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় ১৯৬৮ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন।  তবে বাবা নির্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দল হিন্দু মহাসভাতে যাননি তিনি। যোগ দিয়েছিলেন সিপিআইএমে। ১৯৮৯ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত লোকসভায় সিপিএম সংসদীয় দলের নেতা ছিলেন। ২০০৪ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ছিলেন লোকসভার স্পিকার। সিপিআইএমের সঙ্গে ৪০ বছরের সংযোগ শেষ হয়ে যায় ২০০৮ সালে। ইউপিএ-১ সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছিল বামদলগুলি। সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় তখন স্পিকার। সিপিএমের তৎকালীন নেতৃত্ব চেয়েছিলেন, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ও সরকারের বিরোধিতাই করুন। কিন্তু তিনি রাজি হননি। স্পিকার হিসেবে তিনি কোনও দলের নন এবং অনাস্থার প্রক্রিয়া চলাকালীন তাঁকে নিরপেক্ষ ভূমিকাই নিতে হবে, সেটা তাঁর সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা, দলকে জানিয়ে দিয়েছিলেন সোমনাথ। এই সিদ্ধান্তের জন্য ২০০৮সালে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে বহিষ্কার করেছিল সিপিআইএম। ২০০৯ সালের স্পীকারের দায়িত্ব শেষে আর সক্রিয় রাজনীতিতে থাকেননি। তবে  বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুতে প্রয়োজন মতো মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে গোটা রাজ্যে যে ভয়াবহ হিংসার ছবি দেখা গিয়েছিল, তা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর