× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তাহিরপুরে ব্লেড দিয়ে সিজার করা সেই চিকিৎসক গ্রেপ্তার

অনলাইন

তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) আগস্ট ১৪, ২০১৮, মঙ্গলবার, ১২:৩২ অপরাহ্ন

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে প্রসূতিকে ব্লেড দিয়ে সিজার করা সেই পল্লী চিকিৎসক লাল মোহন বর্মণ (৪৫) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সকালে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় উপজেলার বীরেন্দ্রনগর সীমান্ত এলাকার জিরো লাইন থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় লাল মোহনের অপর সহযোগী উপজেলার বালিজুরী গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে পল্লী চিকিসক নুরুল আমিন পুলিশী ধাওয়ার মুখে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে পালিয়ে গেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. মুহিত মিয়া এ বিষয়টি নিশ্চিত  করেছেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার উপজেলার বড়খলা গ্রামের সুজিত বর্মণের স্ত্রী শৌমরী বর্মণের প্রসব ব্যথা উঠলে বড়খলা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক লালমোহন বর্মণ ও পার্শ্ববর্তী বালিজুরী গ্রামের অপর পল্লী চিকিৎসক নুরুল আমিনকে ডাকা হয়। তারা প্রসূতিকে দেখে গর্ভের নবজাতককে মৃত বলে গর্ভপাতের পরামর্শ দেন প্রসূতির স্মামীকে। কিন্তু গ্রামের ধাত্রী রাজু বেগম ও প্রসূতি নিজেই বাধা দিয়ে জানান- সন্তান জীবিত আছে, পেঠের ভেতর নড়াচড়াও করছে বলে প্রসূতি অনুভব করছেন। একপর্যায়ে দুই পল্লী চিকিৎসক ব্লেড দিয়ে জরায়ুর মুখ কেটে নবজাতককে বের করে আনলে নবজাতকের মাথার বেশ কিছু অংশ কেটে যায়।
তড়িঘড়ি করে পল্লী চিকিৎসকরা নবজাতকের মাথায় ৫টি এবং প্রসূতির অধিক রক্তক্ষরণ হলে তার জরায়ুর মুখে ১৭টি সেলাই দেয়। পরে পরিবারের লোকজন নবজাতকের নড়াচড়া দেখে তাৎক্ষণিক প্রসূতি মা ও নবজাতককে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে নবজাতকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শৌমরী বর্মণের স্বামী সুজিত বর্মণ বাদী হয়ে সোমবার রাতে পল্লী চিকিৎসক লাল মোহন বর্মণ ও নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর