× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কনস্টেবলকে পেটালেন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ

অনলাইন

কালীগঞ্জ(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) আগস্ট ১৪, ২০১৮, মঙ্গলবার, ১:৪৪ পূর্বাহ্ন

গাঁজাসহ আটককৃত আসামি ছেড়ে দেয়ার প্রতিবাদ করায় পুলিশ কনস্টেবলকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সুবর্ণসরা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই দাউদ হোসেন। গত শুক্রবার ঘটনাটি ঘটলেও ঘটনাটি গোপন রাখা হয়েছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কনস্টেবল সাইদুর নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন। তবে এসআই দাউদ হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, সাইদুরকে জ্বীনে ধরেছিল।

আহত সাইদুর যশোর সদর উপজেলার নোঙ্গরপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা চাঁদ আলীর ছেলে ও কালীগঞ্জের সুবর্ণসরা পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত।  আহত কনস্টেবল বলেন, গত শুক্রবার কালীগঞ্জের বাদুড়গাছা গ্রাম থেকে দুটি গাঁজা গাছসহ একজনকে আটক করে সুবর্ণসরা ফাঁড়িতে নিয়ে যাই। এরপর ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই দাউদ ঘুষ নিয়ে ওই লোককে ছেড়ে দেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আমি বলেছিলাম আপনি টাকা খেয়ে আসামি ছেড়ে দিলে আমাদের অসুবিধা হয়। পাবলিক আমাদের খারাপ বলে।
এই কথা শুনে এসআই দাউদ রেগে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের এক পর্যায়ে তিনি আমার বুকে লাথি মারেন। তারপর এলোপাতাড়ি মারপিট করেন।
বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানালে তিনি চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন।
ওই দিনই যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হই। তিনদিনেও শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত রোববার পুনরায় সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সুবর্ণসরা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) দাউদ হোসেন বলেন, মারপিটের অভিযোগ সঠিক নয়। সাইদুরকে জ্বীনে ধরেছিল। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে বাড়ি পাঠানো হয়েছিল। এর আগেও তার জ্বিনের সমস্যা ছিল।

দাউদ হোসেন আরও বলেন, কারো কাছ থেকে কোনো টাকা পয়সা নেই না। চ্যালেঞ্জ করে বলছি, গ্রামের হাজার মানুষের কাছে শোনেন, কেউ বলতে পারবে না, আমি কারো কাছ থেকে টাকা নিয়েছি।

কালীগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার কাছে শুনলাম। খোঁজ নিয়ে দেখছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর