ঈদুল আজহার ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরতি আগাম টিকিট বিক্রি গত বুধবার থেকে শুরু করেছে পাবনার ভাঙ্গুড়া বড়ালব্রিজ রেল স্টেশন কর্তৃপক্ষ। বিগত বছরের ন্যায় এবারও স্টেশন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে টিকিট নিয়ে কারচুপির অভিযোগ করেছেন টিকিট ক্রয় করতে আসা যাত্রীরা। ভুক্তভোগী যাত্রীদের অভিযোগ, ভোর ৫টার সময় এসে লাইনের প্রথমে দাঁড়িয়েও পাওয়া যায় না কাঙ্ক্ষিত ট্রেনের এসি টিকিট। স্থানীয় সরকার দলীয় নেতাদের জন্য এসি টিকিট বরাদ্দের কথা বলে স্টেশন মাস্টার সাধারন যাত্রীদের কাছে নির্ধারিত এসি টিকিট বিক্রি করেন না। এমনকি টিকিট বিক্রি শুরুর ঘণ্টা পার না হতেই শোভন চেয়ারের টিকিটও বিক্রি শেষ বলে ঘোষণা দেয় স্টেশন কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে প্রতিদিনই যাত্রীদের সঙ্গে স্টেশন মাস্টারের হট্টগোল বেধে যায়। অনেক সময় পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কাউন্টার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের অভিযোগ, পরে এ স্টেশনের টিকিট বাহিরে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হয়।
স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, এ স্টেশন থেকে প্রতিদিন ঢাকাগামী ৬টি আন্তঃনগর টেনের ১২০টি শোভন চেয়ার ও ১৩টি এসি টিকিট বিক্রি করা হয়। এছাড়া ঈদে দু’টি স্পেশাল ট্রেনে অর্ধশত টিকিট বিক্রি করা হয়। তবে ঈদের সময় নির্ধারিত টিকেটের চেয়ে দশগুণ চাহিদা বেড়ে যায়। তাই তাদের হিমশিম খেতে হয়। সরকারদলীয় নেতাদের জন্য এসি টিকিট বরাদ্দের বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি লোকমান হোসেন তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন,’ স্টেশন কর্তৃপক্ষ নেতাদের নাম ভাঙিয়ে ট্রেনের টিকিট নিয়ে যাত্রীদের সাথে প্রতারণা করছে। এটা প্রতিহত করা দরকার।’ টিকিট কারচুপির বিষয়ে স্টেশনের বুকিং ইনচার্জ মেহেদী আল মাসুদ জানান, ‘দু-চারটা এসি টিকিট নেতারা লোক পাঠিয়ে নিয়ে যায়। বাকিগুলো লাইনের যাত্রীরা পায়। এছাড়া শোভন চেয়ারের টিকিট যাত্রীদের তুলনায় অত্যন্ত কম হওয়ায় টিকিট না পেয়ে যাত্রীরা এমন অভিযোগ করছেন।’