আসন্ন কোরবানি ঈদে রংপুর বিভাগে কোরবানির পশুর চাহিদা মিটিয়ে ২ লাখ ৩০ হাজার পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও. নীলফামারী, দিনাজপুরসহ ৮ জেলায় উপযুক্ত গরু-খাসি রয়েছে প্রায় ১৪ লাখ। ভারত থেকে গরু না এলে এ অঞ্চলের খামারিরা লাভবান হবেন। ভালো দামের আশায় খামারিরা পশুকে মোটা তাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। রংপুর বিভাগীয় প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, কোরবানি পশু বিক্রির উদ্দেশ্যে এ বিভাগের ৮ জেলায় ১ লাখ ৫৪ হাজার ২১ জন খামারি ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৯৩১টি পশু বাণিজ্যিকভাবে বিক্রির প্রস্তুতি রেখেছে। এছাড়া ২ লাখের উপর গৃহস্থ প্রায় ৯ লাখ গরু বাজারে বিক্রির জন্য তৈরি করছেন। এর মধ্যে রংপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি ৩৩ হাজার খামারে প্রায় ২ লাখের উপর গরু রয়েছে। প্রাণি সম্পদ বিভাগের মতে, গত বছর কোরবানির পশু ছিল ১১ লাখ ৭৬ হাজার।
এ বছর ৩ লাখ বেড়েছে। এর মধ্যে ছাগল ও ভেড়া রয়েছে প্রায় আড়াই লাখ। এসব পশু বিভাগের চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য স্থানে সরবরাহ করা হবে। কোরবানিতে দেশি জাতের ও শংকর জাতের গরুর চাহিদা বেশি থাকায় খামারিরা এ ধরনের গরু স্বাস্থ্য সম্মতভাবে মোটাতাজাকরণ শুরু করেছেন কয়েকমাস আগ থেকেই। এদিকে কোরবানি ঈদের কয়েকদিন বাকি। এরই মধ্য ব্যবসায়ী ও ব্যাপারিরা পশু হাটে তোলা ও দরদামে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। হাটে পশুর দাম প্রকারভেদে গরু ২ লাখ টাকা শুরু করে ৫০ হাজার ও খাসি ৪০ হাজার থেকে শুরু করে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
খামারি এনামুল হক প্রধান জানান, তার খামারে ২শ’ উপর গরু রয়েছে। এর মধ্যে ৭২ গরু বিক্রির উপযুক্ত। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বাজার দর ঠিকমতো না পাওয়ায় তিনি এ গরুগুলো ছাড়ছেন না। সদর উপজেলার তাজিকুল ইসলাম জানান, গত দেড় বছর ধরে তিনি বাড়িতে গাভী, গরু ও ছাগল পালছেন। কোরবানিতে এগুলোকে বিক্রি করে বছরের খরচ চালান। রংপুর প্রাণি সম্পদ বিভাগীয় অফিসের উপ-পরিচালক শেখ আজিজুর রহমান জানান, আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানির পশুর চাহিদা মেটানোর পরেও দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ৩ লাখ পশু পাঠাতে পারবে কৃষক ও খামারিরা। তিনি আরো বলেন, কৃত্রিম উপায়ে যাতে করে কোনো খামারি গরু মোটাতাজা করতে না পারে সেজন্য মাঠ কর্মীরা বিভাগের ৮ জেলায় কাজ করছেন। ওদিকে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য জানান, কোরবানি উৎসবকে সামনে রেখে অজ্ঞান পার্টি, ছিনতাইকারীর দৌরাত্ম্য রোধ করতে আইনশৃঙ্খলা কড়া নজরদারি করা হয়েছে। হাটে হাটে জাল টাকা রোধে মেশিন স্থাপন করা হয়েছে।