× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দাম কম, হতাশ আমতলীর খামারিরা

বাংলারজমিন

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
১৮ আগস্ট ২০১৮, শনিবার

ঈদুল আজহার মাত্র ৪ দিন বাকি। শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন খামারিরা। বাজারে পশুর দাম কম থাকায় হতাশ তারা। চাহিদার তুলনায় আমতলীতে উৎপাদন কম থাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রপ্তানিকৃত গরু দিয়ে চাহিদা পূরণ করা হয়। এতে পশুর দাম বাজারে কমে গেছে। লোকসানের ভয়ে খামারিরা পশু বিক্রি করছেন না। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছে তারা। খামারিদের ধারণা অনেক গরু এ বছর অবিক্রীত থেকে যাবে।
প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানাগেছে, আমতলী ও তালতলী উপজেলায় কোরবানির জন্য ৪ হাজার ৭৪০টি পশুর চাহিদা রয়েছে। এ দু’উপজেলার ৩৯০টি খামারে ৩ হাজার ১০৫টি পশু আছে। আমতলীর ২১১টি খামারে ১ হাজার ২২৭টি গরু, ৩৭টি মহিষ, ১৯৮টি ছাগল ও ১০টি ভেড়া এবং তালতলীর ১৭৯টি খামারে ১ হাজার ৪০০ গরু, ৫০টি মহিষ, ১৮৩টি ছাগল রয়েছে। প্রতিদিন এ পশুগুলোকে খৈল, ভুসি, কুড়া ও কাঁচা ঘাস খাওয়াচ্ছেন খামারিরা। শেষ সময়ে ভালো লাভের আশায় খামারিরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। খুব যত্নসহকারে পশুর দেখভাল করছেন। কিন্তু বাজারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গরু আসায় গরুর দাম কমে গেছে। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে খামারিদের। অনেক খামারি বাজারের অবস্থা দেখে লোকসানে গরু বিক্রি না করে পরবর্তী বছরের জন্য রেখে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দক্ষিণাঞ্চলের বড় গরুর হাট আমতলী ও গাজীপুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গরু এসেছে। বিশেষ করে কুষ্টিয়া, গোপালগঞ্জ, যশোর, খুলনা ও ঝিনাইদহের গরুতে বাজার সয়লাব। এ সকল গরু বাজারে আসায় দেশীয় ও খামারিদের গরুর দাম কমে গেছে। খামারিরা বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বাজারে গরু আসায় গরুর দাম কমে গেছে। অনেক খামারি লোকসানে গরু বিক্রি করছে। ক্রেতা জয়নাল মিয়া বলেন, বাজারে গরুর দাম গত বছরের তুলনায় কম। একটি মাঝারি সাইজের দেশি গরু ৪৬ হাজার টাকায় ক্রয় করেছি। গত বছর এ গরুর দাম ছিল ৬০-৬৫ হাজার টাকা। কুকুয়ার মডার্ন এগ্রো ফার্মের মালিক নিজাম উদ্দিন তালুকদার বলেন, কোরবানির উপযোগী ২৩টি গরু (বলদ) রয়েছে। কিন্তু বাজারে গুরুর দাম কম। এক বছরে লালন পালন শেষে যে খরচ হয়েছে সে মূল্য পাব না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর