ঢাকায় ৭ কোটি ২৪ লাখ নগদ টাকা ও ২ লাখ ইয়াবাসহ ৬ জন আটকের ঘটনায় কক্সবাজারে তোলপাড় চলছে। আটক ৬ ইয়াবাকারবারীর মধ্যে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকসুদ মিয়া নিশানের পরিচয় প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে ঘটনাটি টক অব দ্য কক্সবাজারে পরিণত হয়েছে। দিনব্যাপী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক লেখালেখি করছে খোদ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মকসুদ মিয়ার একাধিক ছবি প্রকাশ করে ফেসবুকে নানা কিসিমের স্ট্যাটাস দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতা মকসুদ মিয়ার পিতা তালিকাভুক্ত যুদ্ধাপরাধী। জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে স্থান পাওয়ার পর থেকে নেতাকর্মীদের বড় একটি অংশ তার উপর ক্ষুব্ধ। তবে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার এমপি ও মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশেক উল্লাহ রফিক ও শীর্ষ নেতৃবৃন্দের আশীর্বাদ থাকায় তার বিচরণ সর্বত্র। এমনকি সম্প্রতি কক্সবাজার পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র মুজিবুর রহমান দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন।
ওই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানেও মকসুদ মিয়া উপস্থিত ছিলেন। এ নিয়েও ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন কক্সবাজার আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। বৃহসপতিবার (১৬ই আগস্ট) দুপুরে কাওরানবাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব’র লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জানান, ১৫ই আগস্ট রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে টেকনাফ এলাকার অন্যতম মাদক ব্যবসায়ী জহির আহমেদ ওরফে মৌলভী জহিরসহ (৬০) ছয়জনকে আটক করে র্যাব। টেকনাফ সদরের চৌধুরী পাড়ার বাসিন্দা হচ্ছেন মৌলভী জহির। আটক অন্যরা হলেন- মমিনুল আলম (৩০), ফয়সাল আহম্মেদ (৩১), মিরাজ উদ্দিন নিশান (২১), তৌফিকুল ইসলাম ওরফে সানি (২১) ও সঞ্জয় চন্দ্র হালদার (২০)। এর মধ্যে মিরাজ উদ্দিন নিশান মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়ার পুত্র। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ লাখ ৭ হাজার ১০০ পিস ইয়াবা এবং মাদক বিক্রির ৭ কোটি ২৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।