কুড়িগ্রামের রাজারহাট থানার এসআই মিজানুর রহমান এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্তরত অবস্থায় মধ্য রাতে জনতার হাতে ধরা পরে ৬ ঘণ্টা পর ছাড়া পেয়েছেন। একই থানার অপর এসআই উপস্থিত হয়ে দেড় লক্ষ টাকায় রফাদফা করে তাকে ছাড়িয়ে আনেন। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজারহাট থানার এসআই মিজানুর রহমান উপজেলার সদর ইউনিয়নের দুধখাওয়া মন্ডলপাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের এক কলেজপড়ুয়া কন্যার সঙ্গে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রায়ই রাতে এস আই মিজানুর ওই বাড়িতে অবাধ যাতায়াত করে আসছে।
১৬ই আগস্ট বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এসআই মিজানুর রহমান ওই কলেজছাত্রীর কক্ষে প্রবেশ করে দৈহিক মেলামেশায় লিপ্ত হলে তার সঙ্গে যাওয়া সোর্স (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বাইরে থেকে ঘরের দরজা লাগিয়ে দেয়। বিষয়টি টের পেয়ে এলাকাবাসী ছুটে এসে ওই কক্ষ ঘিরে রাখে। পরে উৎসুক জনতা ওই বাড়িতে ভিড় জমায়। অনেকে এস আই মিজানুর রহমানকে কিলঘুষি ও চড়থাপ্পড় মারতে থাকে।
গভীর রাতে খবর পেয়ে রাজারহাট থানার অপর এসআই নুর আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি আপস-রফার প্রস্তাব দেন। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য বিপ্লব আলী, আব্দুল কুদ্দুস, আতিকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে নগদ দেড় লাখ টাকা মেয়েটির হাতে দিয়ে বিষয়টি আপস-রফা করা হয়। পরে শুক্রবার ভোর ৫ টায় এসআই মিজানুর রহমানকে ছাড়িয়ে নিয়ে থানা আসেন এসআই নুর আলম। স্থানীয় ইউপি সদস্য বিপ্লব আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এসআই নুর আলম আমাকে ওই বাড়িতে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে দেড় লাখ টাকায় বিষয়টি রফাদফা করা হয়েছে।
এস আই মিজানুর রহমান জানান, মেয়েটি আমার ধর্ম বোন হওয়ায় মাঝে মধ্যে তার বাড়িতে যেতাম। বৃহস্পতিবার রাতে একটা কাজে ওই এলাকা দিয়ে আসার পথে ওই বাড়িতে প্রবেশের পর কিছু মানুষ ধাক্কা দিয়ে ওই ঘরের ভিতর ঠেলে দিয়ে আমাকে আটকে রাখে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোখলেসুর রহমান বলেন, আপনিও যা শুনেছেন, আমিও তা শুনেছি। বিষয়টি তিনি কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপারকে অবগত করেছেন বলে জানিয়েছেন।