× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ ফেলে পালালো স্বামী

বাংলারজমিন

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
১৮ আগস্ট ২০১৮, শনিবার

বরগুনা আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের  করিডোরে গৃহবধূ মারিয়া আক্তারের (২০) লাশ ফেলে পালিয়েছে স্বামী বেল্লাল হাওলাদার। তিন ঘণ্টা পর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলা মাইঠা গ্রামে  বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। এ ঘটনায় আমতলী থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। জানা গেছে, কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ গ্রামের মো. নজির হাওলাদারের কন্যা মারিয়া আক্তারের এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে আমতলী উপজেলার মাইঠা গ্রামের রশিদ হাওলাদারের ছেলে বেল্লাল হাওলাদারের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় স্বর্ণালঙ্কারসহ  প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র দিয়ে নজির হাওলাদার জামাতা বেল্লালের হাতে মারিয়াকে তুলে দেন। বিয়ের পর থেকে স্বামী বেল্লাল  হাওলাদার, শ্বশুর আবদুর রশিদ হাওলাদার ও শাশুড়ি রুপবানী বেগম যৌতুকসহ বিভিন্ন অজুহাতে নির্যাতন করে আসছিল। বিয়ের ৬ মাসে জামাতার মন জোগাতে শ্বশুর নজির হাওলাদার বিভিন্ন সময় ২০ হাজার টাকা যৌতুক দিয়েছেন।
কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হয়নি জামাতা বেল্লাল  হাওলাদার। গত মঙ্গলবার স্ত্রী মারিয়াকে ১০ হাজার টাকা আনার জন্য বাবার বাড়ি পাঠায়। টাকা নিয়ে আসতে না পারায় স্ত্রী মারিয়াকে স্বামী বেল্লাল হাওলাদার বৃহস্পতিবার বিকেলে মারধর করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিষপান করে মারিয়া। তাৎক্ষণিক মারিয়াকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ওই হাসপাতালে যাওয়ার পথে মারা যায় মারিয়া। পরে রাত ৭টার দিকে লাশ আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  নিয়ে আসে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লাশ রেখে স্বামী বেল্লাল  হাওলাদার পালিয়ে যায়। তিন ঘণ্টা লাশ ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের  করিডোরে পড়ে থাকে। আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স  কর্তৃপক্ষ থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। শুক্রবার সকালে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। গৃহবধূ মারিয়ার শাশুড়ি রুপবানী বেগম মারধরের কথা অস্বীকার করে জানান, সবার অজান্তে গৃহবধূ মারিয়া বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে। আমতলী থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন মিলন বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর