সড়ক-মহাসড়কগুলোতে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে যেখানে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে এমন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ যানজট নিরসনে পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে বলে জানিয়েছেন মহা পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। গতকাল বিকেলে আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল এলাকা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ঈদে সড়কে কোনো ধরনের যানজট সৃষ্টি হবে না উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে এমন স্থানগুলোতে পুলিশের পক্ষ থেকে লোকবল বাড়ানো হয়েছে। তাই এবার কোনো ধরনের যানজট সৃষ্টি হবে না বলে জানান তিনি। এছাড়া পশুবাহী কোনো গাড়ি রাস্তায় আটকানো যাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, বিক্রেতারা যেন তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী নির্দিষ্ট হাটে গরু বিক্রি করতে পারে সেজন্য প্রতিটি পশুবাহী গাড়িতে স্টিকার লাগানো থাকবে। যে গাড়ির মধ্যে যে হাটের নাম লিখা থাকবে ওই পশুবাহী গাড়িটি ওই হাটেই গরু বিক্রি করতে পারবে, অন্য কোথাও কেউ জোর করে গাড়ি থামাতে পারবে না। ইজারাদার বা দালালরা যেন কোনো হাটে বেপারীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে গরু নামাতে না পারে সে বিষয়টি নিশ্চিতের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।
শ্রমিকদের মজুরীর বিষয়ে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমরা মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছি। ঈদের সামনে কোনোভাবেই গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন-বোনাস আটকে রাখা যাবে না। প্রতিটি শ্রমিক যেন তার ন্যায্য মজুরী পায় সে বিষয়ে মালিকদের কঠোর নির্দেশনার মাধ্যমে পাওনা পরিশোধের কথা বলা হয়েছে। কিছুদিন আগে গাজীপুরে একটি কারখানায় বেতন না দেয়ায় শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এ ঘটনায় আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে ওই মালিককে চাপ প্রয়োগ করে বেতন পরিশোধ করতে বাধ্য করেছি।