পেপ গার্দিওলাকে কোচ হিসেবে পাওয়ার মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই আর্জেন্টিনার। গার্দিওলার বেতন আকাশচুম্বী। ক’দিন আগে এমন মন্তব্য করেন আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া। এবার নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তাপিয়াকে একহাত নিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিয়ার্ড কোচ গার্দিওলা। তিনি বলেন, ‘আমি তার (তাপিয়া) কথায় কিছুটা হলেও হতাশ। আমার বেতন বেশি- এ কথা বলতে পারেন না এএফএ সভাপতি। এ কথা বলার আগে তো তাকে আমার বেতন জানতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, কেউ আমাকে জাতীয় দলের কোচ হওয়ার প্রস্তাব দিতে যোগাযোগ করেনি। তাপিয়া যে কারণ (বেতন) বলেছেন, সেটি অবশ্যই সঠিক নয়। আমি কখন জাতীয় দলের কোচ হতে পারি সেটা আমি জানি। ক্লাব সামলানো আর জাতীয় দলের কোচ হওয়া এক জিনিস নয়। ম্যানসিটির সঙ্গে আমার চুক্তি রয়েছে। আমি চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ করতে চাই।’ বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর কোচের চাকরি হারান হোর্হে সাম্পাওলি। আর্জেন্টিনার নতুন কোচ হওয়ার দৌড়ে গার্দিওলার নাম উঠে আসে। বার্সেলোনার পর লিওনেল মেসির কোচ হয়ে ফেরার আশা দেখেন সমর্থকরা। এএফএ সভাপতি তাপিয়া সেই সম্ভাবনা নাকচ করে দেন আর্থিক কারণ দেখিয়ে। তিনি বলেন, ‘গার্দিওলাকে কোচ বানাতে মোটা মানিব্যাগ লাগে, যেটি আর্জেন্টিনার নেই। আমরা চেষ্টা করে দেখেছি। এটা খুব কঠিন। খুবই কঠিন। তাকে পেতে হলে পুরো এএফএ’কে বন্ধক রাখতে হবে। তাও পর্যাপ্ত হতো না। আমরা জানতাম তিনি দামি কোচ। কিন্তু এতো বেশি তা ভাবিনি। বড় অর্থনৈতিক ব্যাকআপ ছাড়া এটা সম্ভব নয়।’
আর্জেন্টিনার জন্য আর্জেন্টাইন কোচই মানানসই বলে মনে করেন গার্দিওলা। সাবেক এই বার্সা কোচ বলেন, ‘আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচ হতে হলে আপনাকে আর্জেন্টিনার কেউ হতে হবে। আর্জেন্টিনার অনেক দারুণ কোচ রয়েছেন। তাই আমার আর্জেন্টিনার কোচ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ভবিষ্যতে কী হবে তা কেউ বলতে পারে না।
কিন্তু পেপের বেতন অনেক বেশি হওয়ায় তাকে আমরা নিতে পারবো না, এমন কথার ভিত্তি নেই। এসব কথা বলার আগে অবশ্যই আমার সঙ্গে কথা বলে সবকিছু জেনে নিতে হবে।’ ইতিমধ্যেই অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে পাবলো আইমার ও লিওনেল স্কালোনিকে নিয়েগো দিয়েছে এএফএ। তাদের অধীনে আগামী মাসে গুয়েতেমালা ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে আলবিসেলেস্তেরা। অক্টোবরে ব্রাজিলের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে স্থায়ী কোচের নাম ঘোষণা করতে পারে আর্জেন্টিনা।