× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

উচ্চশিক্ষার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

দেশ বিদেশ

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
১৮ আগস্ট ২০১৮, শনিবার

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, উচ্চশিক্ষার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা ও বড় সার্টিফিকেট নেয়ার মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে আমাদেরকে। আজকের যুগে সে শিক্ষা নিতে হবে যে শিক্ষা বাস্তব কাজে ব্যবহার করা যায়। আমরা চিরকাল জ্ঞান আমদানি করে থাকি, এখনো করছি। কিন্তু এখন আর সেখানে থাকতে চাই না। আমরা চাই- জ্ঞান ও প্রযুক্তির রপ্তানিকারক হতে। সেভাবেই গড়ে তুলতে হবে নতুন প্রজন্মকে। গতকাল বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন সংলগ্ন অ্যালামনাই ফ্লোরে শোক দিবসের এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের আন্দোলনে অংশ নিয়ে বহিষ্কার হয়েছিলেন। অন্যেরা সবাই মুচলেকা দিয়ে বহিষ্কারাদেশ তুলে নিয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ভুলেননি। এই বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে প্রচীন, সর্ববৃহৎ ও গৌরবের। আমাদের যা কিছু ভালো তার কেন্দ্রবিন্দু ছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, আজকে আমাদের সেই দেশ গড়ে তোলার জন্য আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেটা করতে হলে আমাদের নতুন প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে হবে। প্রস্তুত করতে হবে সেই বাংলাদেশ গড়ার জন্য যে বাংলাদেশের জন্য আমরা ৪১ সাল কিংবা ২১ সালের স্বপ্ন দেখছি। তিনি বলেন, আমাদের এ দেশে শিক্ষার জন্য আন্দোলন হয়েছে বহুকাল থেকে। ১৯৬২ সালে আইয়ুব খানের শিক্ষা নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছিল। এরপর আর শিক্ষা নীতি বাস্তবায়ন হয়নি। বঙ্গবন্ধু চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু সেটিও কার্যকর হয়নি। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০১০ সালে সরকার গঠনের পর দল মতের ঐক্যমতে শিক্ষানীতি বাস্তাবায়ন করেছি। একমত না হলে ওই নীতি কার্যকর হবে না। তাই আমরা সব দল মতের বক্তব্য নিয়েছি। আমরা শিক্ষার মূল লক্ষ্য ঠিক করেছি আমাদের নতুন প্রজন্মকে আধুনিক ও প্রযুক্তনির্ভর করে গড়ে তুলতে হবে। প্রচলিত শিক্ষার গুণগত পরিবর্তন না করতে পারলে আমরা সে লক্ষ্য অর্জন করতে পারবো না। সুতরাং আমরা সে লক্ষ্য অর্জনে কাজ করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা ও ভুলত্রুটি আছে। তারপরও গত ৯ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষার গুণগত পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছি। আজকে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জ্ঞান প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা অর্জন করতে হবে নতুন প্রজন্মকে। যাতে তারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশকে বদলে দিতে পারে। সে ধারায় পৌঁছতে আমাদের অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে। অধ্যাপক মুহম্মদ সামাদ বলেন, বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, নিপীড়ন-শোষণমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু যারা তার আদর্শের শত্রু ছিলো তারা ৭৫’র ১৫ই আগস্ট তাকে সপরিবারে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে। এটা ছিল ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, জাতির পিতা যে আদর্শ রেখে গেছেন, তা শুধু এ বাংলাদেশের জন্য নয়- সারা বিশ্বের জন্য। ৭৫’র ১৫ই আগস্ট তার আদর্শকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। যার কারণে তার পরিবারকেও হত্যা করা হয়। যেন তার আদর্শের কথা আর কেউ বলতে না পারে। কিন্তু ইতিহাস সে শিক্ষা দেয় না। ইতিহাস তার গতিতে চলে। হয়তো কিছুটা সময় থমকে দাঁড়ায়। সেটিই হয়েছিল। এখন পুনরায় সেটা নতুন প্রজন্মের জানার সুযোগ তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগকে নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বঙ্গন্ধুর জীবদ্দশায় যে ষড়যন্ত্র হয়েছে সে ষড়যন্ত্র আজও হচ্ছে। ১৫ই আগস্টের মতো যেন বাংলাদেশকে পিছনে ঠেলে দেয়া যায়। তাই এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় আমাদেরকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে যার যার জায়গা থেকে কাজ করতে হবে।
এসোসিয়েশনের সভাপতি একে আজাদের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কবি মুহম্মদ সামাদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর