× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইমরান খানই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পাতা

মানবজমিন ডেস্ক
১৮ আগস্ট ২০১৮, শনিবার

পাকিস্তানের সংসদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান। শুক্রবার দেশটির জাতীয় পরিষদে প্রধানমন্ত্রী পদের নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হন। আজ  পাকিস্তানের২২তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন ইমরান।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ছিল প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময়। এর আগে নবনির্বাচিত স্পিকার আসাদ কায়সার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করার ঘোষণা দেন। প্রধান বিরোধী দল নওয়াজের পাকিস্তান মুসলিম লীগ ইমরানের প্রধানমন্ত্রী হওয়া ঠেকাতে ১১ দলীয় জোট গড়ে। তবে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে তৃতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তান পিপলস পার্টির সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেনি দলটি। পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের প্রধান শাহবাজ শরীফের প্রার্থিতা নিয়ে বিরোধী শিবিরে বিরোধ দেখা দেয়। পিটিআই বিরোধী জোট গঠন করলেও শেষ পর্যন্ত শাহবাজকে সমর্থন দেয়নি পাকিস্তান পিপলস পার্টি।
তাই আগে থেকেই একরকম নিশ্চিত ছিল ইমরান খানই হতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় পরিষদে শুক্রবারের নির্বাচনে ইমরান খান মোট ১৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রধান প্রতিপক্ষ পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের সভাপতি শাহবাজ শরীফ পান ৯৬ ভোট।

এর আগে ২৫শে জুলাই পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে একক দল হিসেবে ইমরান খানের দল পিটিআই সর্বোচ্চ সংখ্যক আসনে বিজয়ী হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার জন্য তাকে ছোট দলগুলোর সাহায্যের দরকার হয় তখন। অতঃপর রাজনীতিতে প্রবেশের দুই দশক পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হলেন সাবেক এই ক্রিকেটার। ৬৫ বছর বয়স্ক ইমরান খান ইতিমধ্যে নতুন পাকিস্তান গড়ার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে নতুন করে দেশ গড়বে তার দল।

বিশ্বজুড়ে খ্যাত এ ক্রিকেটার ১৯৯২ সালে পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী দলের ক্যাপ্টেন ছিলেন। খেলোয়াড় হিসেবে প্রশংসিত ইমরান খানের ব্যক্তিগত জীবনে প্লেবয় তকমাও লেগেছে। কিন্তু রাজনীতিতে প্রবেশের পর তিনি নিজের ভাবমূর্তি পরিবর্তনে সচেষ্ট হন। উপমহাদেশীয় রাজনীতিতে সব থেকে কার্যকর অস্ত্র ধর্মকেই বেছে নেন তিনি। তিনি বলেন, পাকিস্তানকে একটি ইসলামিক কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলাই তার উদ্দেশ্য। সমপ্রতি কয়েক বছরে পাকিস্তানের রাজনীতিতে তার ধার্মিক ও দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি ক্রমাগত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এটিই তার প্রধানমন্ত্রী হয়ে ওঠার পেছনে অন্যতম সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করা হয়।

নির্বাচনের পূর্বে ইমরান খান বলেছিলেন, তিনি নির্বাচিত হলে তার প্রথম কাজ হবে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা। সামপ্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানের মুদ্রা রুপির মান ডলারের বিপরীতে উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। এতে দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতিও দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, নতুন নির্বাচিত এ সরকারকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য হয়ত পুনরায় আইএমএফের শরণাপন্ন হতে হবে।

নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ইমরান খান ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। পরমাণু অস্ত্রধারী দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘকাল ধরে এ সমস্যা চলে আসছে। একইসঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও সম্পোর্কন্নয়নের কথা তুলে আনেন। সমপ্রতি আফগান জঙ্গিদের সহযোগিতার দায়ে পাকিস্তানে সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
২৫শে জুলাইয়ের নির্বাচনের পর বিরোধীদলগুলো নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকার করে। কিন্তু পরে তারা সংসদে আসার জন্য রাজি হয়। পাকিস্তান পিপলস পার্টি ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ কয়েক দশক ধরেই দেশটির ক্ষমতায় ছিল। ইমরান খানের এ জয় মূলত পাকিস্তানে নতুন শক্তির উদয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর