× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এক যুবকের মমিকে ঘিরে রহস্য

রকমারি

অনলাইন ডেস্ক
১৮ আগস্ট ২০১৮, শনিবার

মমি। ছোট্ট একটা শব্দ। কিন্তু তারই মধ্যে অমোঘ রহস্যের হাতছানি। হাজার হাজার বছর আগেকার পৃথিবীর দিনকাল ভেসে ওঠে চোখের সামনে। সেই সঙ্গে অবধারিত অতিলৌকিক সব আখ্যান। লেখকের কল্পনা হোক বা হলিউডের রুপোলি পর্দা— মমির আবেদন সর্বজনবিদিত। তুতেনখামেনের অভিশপ্ত মমি হোক বা অন্য ফারাওদের মমি— সাধারণ মানুষদের পাশাপাশি গবেষকদেরও কৌতূহলের শেষ নেই। এ নিয়ে নতুন নতুন আবিষ্কারও তাই হয়ে চলেছে।
সম্প্রতি এক বহু পুরনো মমিকে ঘিরে নতুন আবিষ্কারের কথা সামনে এল। জানা গেল, ফারাওদের আগেও মমি প্রথা চালু ছিল প্রাচীন মিশরে! চাঞ্চল্যকর এই খবরে স্বাভাবিক ভাবেই উত্তেজিত কৌতূহলী মানুষরা।

আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘লাইভসায়েন্স.কম’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ওই মমিটি পাওয়া গিয়েছিল গত শতাব্দীর একেবারে গোড়ায়। ১৯০১ সাল থেকে ইতালির তুরিন মিউজিয়ামে সংরক্ষিত রয়েছে মমিটি। মোটামুটি ভাবে ৩৭০০ থেকে ৩৫০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দের সময়কালের ওই মমিটি সম্পর্কে এতদিন সকলের ধারণা ছিল, ওই মমিটি কৃত্রিম ভাবে সংরক্ষিত হয়নি। কোনও দুর্যোগের পরে মরুভূমিতে প্রাকৃতিক ভাবেই ওই দেহটি সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু গবেষকরা এখন জানতে পেরেছেন, ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী ওই যুবকের দেহটিকে কৃত্রিম ভাবেই সংরক্ষণ করা হয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই এহেন আবিষ্কারে মমির ইতিহাস নিয়েই নতুন করে ভাবতে হচ্ছে গবেষকদের। কেননা, গবেষকদের এই দাবির অর্থ, এতদিনের জানা সময়েরও ১ হাজার বছর আগেই এই বিদ্যা আয়ত্ত করেছিল মিশরের মানুষ।

গত ১৫ অগস্টে ‘জার্নাল অফ আর্কিওলজিক্যাল সায়েন্স’-এ প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি। ওই গবেষক দলের অন্যতম গবেষক অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বাসিন্দা জানা জোন্স জানিয়েছেন, মমিটির ডান কবজি, ধড় খুঁটিয়ে পরীক্ষা করার পরে বোঝা গিয়েছে সেটিকে সংরক্ষণ করা হয়েছে। পাশাপাশি পরীক্ষা করা হয়েছে দেহের সঙ্গে থাকা ব্যাগটিও। দেখা গিয়েছে, জৈব তেল, প্রাণীজ চর্বি ও আরও বহু পদার্থের প্রলেপ দিয়ে কাপড়ে মোড়ানো হয়েছিল দেহটি। উদ্দেশ্য অবশ্যই সংরক্ষণ।

ওই মমিটি এত প্রাচীন, যখন লেখার ভাষাও আবিষ্কৃত হয়নি। সম্ভবত মুখে মুখেই ওই সংরক্ষণের প্রক্রিয়া প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বাহিত হয়েছে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, ওই সময়ের মানুষের মধ্যে মরণোত্তর জীবন সম্পর্কে অটুট বিশ্বাস ছিল। তারা চাইত দেহটি সংরক্ষণ করতে। আর সংরক্ষণের পদ্ধতিও তারা আবিষ্কার করে ফেলেছিল।

কবেকার এক যুবকের শরীর এইভাবেই প্রাচীন পৃথিবীর দরজা আচমকাই যেন খুলে দিয়েছে বিজ্ঞানীদের সামনে। তাঁরা বিস্মিত হয়ে লক্ষ করছেন, সেই সুদূর অতীতেও মানুষ চারপাশের প্রাকৃতিক উপাদানকে কাজে লাগিয়েই কীভাবে দেহ সংরক্ষণের আশ্চর্য পদ্ধতি আবিষ্কার করে ফেলেছিল।

সূত্র- এবেলা 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর