× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চিলমারীতে রাস্তা কার্পেটিংয়ে অনিয়মের অভিযোগ

বাংলারজমিন

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
১৯ আগস্ট ২০১৮, রবিবার

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে রাস্তা পাকাকরণসহ কার্পেটিংয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পাত্রখাতা ও রানীগঞ্জ কাচকোল এলাকার পৃথক রাস্তা দু’টির পাকাকরণ কাজে পিচ-পাথরের সঠিক মাত্রা মিশ্রণ না করেই কার্পেটিং করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় কার্পেটিংয়ের সময় পরিষ্কার করা হয়নি রাস্তা। এছাড়াও নিম্নমানের ইটের সুড়কি ও খোয়া ব্যবহারসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিরুদ্ধে। নিয়ম অনুযায়ী ভালোমানের ইট ব্যবহার করার কথা থাকলেও বাস্তবে দেয়া হয়েছে নিম্নমানের ইটের খোয়া ও সুড়কি। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এলজিইডির কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ওই নিম্নমানের ইটের খোয়া ও সুড়কি দিয়েই কাজ শুরু করেন এবং অনিয়মের মধ্য দিয়েই কার্পেটিং শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে পাত্রখাতা তিস্তা ব্রিজ থেকে ১ কিলো ১শ’ মিটার রাস্তা ও ৩০ লাখ ৭৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ফৈলামারী মোড় হতে পূর্বে আনছার মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের কাজ শুরু হয় বেশ কিছু দিন পূর্বে। রাস্তাটির কাজ পান শামীম এন্টারপ্রাইজ, কুড়িগ্রাম নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
অজ্ঞাত কারণে রাস্তা দুইটি পাকাকরণের কাজে শুরু থেকেই মানা হয়নি কোনো সিডিউল। ঠিকাদার তার খেয়াল খুশি মতো কাজ করলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর ছিল নীরব। এলজিইডির কর্তাদের নীরব ভূমিকার কারণেই কাজের মান নিম্ন ও অনিয়ম হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। রমনা ৯নং ওয়ার্ডের পাত্রখাতা এলাকার ইউপি সদস্য আ. আজিজ রাস্তা পাকাকরণ ও কার্পেটিংয়ে অনিয়ম আছে স্বীকার করে বলেন এলাকাবাসীকে নিয়ে ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের বারবার বলেও লাভ হয়নি। একই কথা জানালেন এলাকাবাসী। কাচকোল ঠগেরহাট এলাকার ইদ্রিস আলী, মতিয়ার রহমান, ওয়াদুদ আকন্দ, হানিফ মিয়াসহ এলাকাবাসী রাস্তা কার্পেটিংয়ে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির কথা তুলে ধরে বলেন, রাস্তা পরিষ্কার না করেই পিচ ঢালা হয়েছে এবং পিচ আর পাথরের মিশ্রণও ভালোভাবে হয়নি। এছাড়াও নিম্নমানের ইট ব্যাবহার করা হয়েছে রাস্তাটির কাজ করার সময়। এ সময় এলাকাবাসী বলেন ‘ভাই আপনাদেরও বলে লাভ কি? ঝড় যেদিকে ছাতিও সেই দিকে, কতবার ঠিকাদার ও এলজিইডির লোকদের বলেছি তারা কথা কানেই নেয়নি। উল্টো ভয় দেখায় তারা।’ এ ব্যাপারে ঠিকাদারের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান রাস্তাটি নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। তাছাড়া কাজ তো এলজিইডির  লোকজন উপস্থিত থেকেই বুঝে নিয়েছে। এ বিষয় তাদের সঙ্গেই কথা বলেন। উপজেলা প্রকৌশলী বলেন, রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে। রাস্তা দুইটির বিষয়ে আমার কাছে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর