× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রামগঞ্জে ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়ম

বাংলারজমিন

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
১৯ আগস্ট ২০১৮, রবিবার

রামগঞ্জে ঈদের বিশেষ বরাদ্দের চাল বিতরণে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে উপজেলার ৮নং করপাড়া ইউনিয়নে দুস্থদের মাঝে বিনামূল্যে ঈদুল আজহার বিশেষ বরাদ্দের চাল বিতরণ করা হয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এ বছর জনপ্রতি ২০ কেজি করে চাল দেয়ার নির্দেশ রয়েছে। উপজেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঈদের মৌসুমে ৮নং করপাড়া ইউনিয়নের ৮৪৫ পরিবারের মাঝে ২০ কেজি হারে চাল বিতরণ করার কথা রয়েছে। বিতরণকালে সরজমিন গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। চেয়ারম্যানের নির্দেশে ২০ কেজির স্থলে প্রত্যেক সুবিধাভোগী সদস্যকে চেয়ারম্যান মজিবুল হক মজিব ১০ থেকে ১২ কেজি চাল বিতরণ করছেন। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের ভেতর থেকে চাল নিয়ে আসা ভুক্তভোগী সদস্যরা এমন নানা অভিযোগ করেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্যাগ অফিসার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার শরীফ উল্যা বিতরণস্থলে না গিয়ে তার স্থলে ওই অফিসের পিয়ন মো. অজি উল্যা চেয়ারম্যানের সঙ্গে বসে খোশগল্প করছেন।
শিক্ষা অফিসের পিয়ন অজি উল্যা জানান, ট্যাগ অফিসার ঈদের ছুটিতে ঢাকায় চলে যাওয়ায় আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে আমার সামনে দুই বালতি করে চাল দিয়েছে। তবে সেখানে কত কেজি চাল তা আমি জানি না।
৮নং করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মজিবুল হক মজিব জানান, আমি ৮৪৫টি কার্ড পেয়েছি। কিন্তু সুবিধাভোগী ১১শত এর বেশি হওয়ায় ২০ কেজির স্থলে ১২-১৪ কেজি করে সবাইকে ভাগ করে দিয়েছি। ট্যাগ অফিসার মো. সরিফ উল্যা জানান, আমি ঢাকায় আছি। চাল বিতরণ জায়গায় আমার স্থলে আমাদের পিয়ন অজি উল্যা আছেন। বিতরণে কোনো সমস্যা হলে চেয়ারম্যানসহ ও নেতৃস্থানীয় যারা আছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমন্বয় করুন।
উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. বোরহান উদ্দিন জানান, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী করপাড়া ইউনিয়নে ১৪ই আগস্ট চাল বিতরণের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ১৪ই আগস্টের স্থলে ১৮ই আগস্ট চাল বিতরণের খবর আমি জানি না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রিজাউল করিম জানান, আইনগত ভাবে সুবিধাভোগীদের তালিকার বাইরে কাউকে ২০ কেজির কম-বেশি বা অতিরিক্ত কোনো লোককে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। সরকারি নির্দেশনার বাইরে যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর