অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে পটুয়াখালীর মহিপুর থানা ছাত্রদলের দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন দুই ছাত্র নেতা। গতকাল সকাল ১০টায় আলীপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনায় জুয়েল মুসুল্লি (২১) ও এমাদুল হাওলাদার (২৮)কে আহতাবস্থায় কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, এ হামলার রেশ ধরে সরকারি মেজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইয়াদুল ইসলাম তুষারের নেতৃত্বে ৫/৬ জন হাসপাতালের ওয়ার্ডে গিয়ে এমাদুলের ওপর হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে।
প্রতক্ষ্যদর্শী ও আহতদের সূত্রে জানা যায়, লতাচাপলী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি এমাদুল ও মহিপুর থানা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জুয়েল মুসুল্লির মধ্যে কমিট গঠন নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। সংঘর্ষে আহত এমাদুলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তুষারের নেতৃত্বে নুরু মুসুল্লি, ইলিয়াস মুসুল্লিসহ ৫/৬ জন তার ওপর হামলা চালায়। এমাদুলের পাশের ১৩নং বেডের রোগীর সঙ্গে আসা হোসনেয়ারা বেগম জানান, ৫/৬ জন যুবক এসে অতর্কিতে হামলা চালায় তার (এমাদুলের) ওপর। এ সময় তাকে বেদম মারধর করা হয়।
১০নং বেডের রোগীর সঙ্গে আসা রোকসানা বেগম জানান, ভয়ে আতঙ্কে চিৎকার চেচামেচি করে সব রোগীরা ছোটাছুটি শুরু করে। এ সময় হাসপাতালেও বেশ ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে কলাপাড়া থানা পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী কলাপাড়া থানার এসআই বিপ্লব মিস্ত্রী জানান, হামলার খবর পেয়ে হাসপাতালে যাই। পালিয়ে যাওয়ায় হামলাকারীদের কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।