× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দুই রোহিঙ্গার নির্মম নির্যাতনের শিকার শিশুটি

বাংলারজমিন

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
১৯ আগস্ট ২০১৮, রবিবার

চুরির দায়ে ৫ বছরের এক শিশুকে শেকলে বেঁধে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে দুই রোহিঙ্গা। দু’দিন ধরে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি থানার পুলিশ শনিবার সকালে অভিযান চালিয়ে দুই রোহিঙ্গাকে আটক করে।
সেই সঙ্গে তাদের কবল থেকে শিশুটিকেও উদ্ধার করে। শিশুটির নাম মনির। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম মহানগর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসীন।
তিনি জানান, শুক্রবার রাতে হঠাৎ ফেসবুকে একটি শিশুকে পিছমোড়া করে শেকলে বাঁধা অবস্থায় নির্মমভাবে মারধরের একটি দৃশ্যের ভিডিও ফুটেজে চোখে পড়ে। সুমন নামে একব্যক্তি ভিডিওটি ফেসবুকে ছাড়ে। তার সঙ্গে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জেনে পুলিশ শনিবার সকালে অভিযান চালায়।
এ সময় মিজানুর রহমান (৪৪) ও মো. লোকমান (৪২) নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
সেই সঙ্গে শেকলে বাঁধা অবস্থায় শিশু মনিরকে উদ্ধার করা হয়। মনির এ সময় গুরুতর আহত ছিল। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ছুটে আসার পর মনিরকে তার বাবা মাজেদ আলী ও মা হাসিনা বেগমের হাতে তুলে দেয়া হয়।
ওসি মো. মহসীন জানান, আটক মিজানুর রহমান (৪৪) ও মো. লোকমান (৪২) মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা মুসলিম। তারা কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে এসে অবৈধভাবে ব্যবসা করছিলেন। গত বৃহস্পতিবার চুরির দায়ে শিশু মনিরকে শেকলে বেঁধে মারধর শুরু করেন। দফায় দফায় মারধরের দৃশ্য উৎসুক জনতা পাশে দাঁড়িয়ে দেখেন। এর মধ্যে সুমন একটি দৃশ্য ভিডিও করে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন, যা ভাইরাল হয়ে ওঠে।
জিজ্ঞাসাবাদে মিজানুর রহমান ও মো. লোকমান শিশুটিকে দু’দিন ধরে শেকলে বেঁধে মারধর ও নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছে বলে জানান ওসি মো. মহসীন।
মনিরের মা-বাবা জানান, তাদের বাড়ি কুমিল্লায়। নগরীর স্টেশন রোডের পাশে বসবাস করেন তারা। বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে হঠাৎ শিশু মনির নিখোঁজ হয়ে যায়। আশপাশের এলাকায় অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তারা মনিরকে খুঁজে পাননি। শনিবার সকালে শিশু উদ্ধারের খবর পেয়ে তারা থানায় ছুটে আসেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর