× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঘুরে আসুন টাঙ্গুয়া হাওর

বাংলারজমিন

তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৯ আগস্ট ২০১৮, রবিবার

ঈদের ছুটিতে ঘুরে আসুন সৌন্দর্যের লীলাভূমি বারেক টিলা, শহীদ সিরাজী লেক (নিলাদ্রী লেক), ডিসি পার্ক ও অপরূপ সৌন্দর্যময় টাঙ্গুয়া হাওর থেকে। টাঙ্গুয়া হাওর, বারেকটিলা ও নিলাদ্রী লেক দেশের উত্তর, পূর্ব সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত। অসংখ্য ছোট-বড় টিলা, নদী, বিল পরিবেষ্টিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এক দর্শনীয় স্থানের নাম বারেক টিলা, শহীদ সিরাজী লেক, (নিলাদ্রী লেক), ডিসি পার্ক ও টাঙ্গুয়া হাওর। রূপ লাবণ্যে টাঙ্গুয়া, বারেক টিলা ও নিলাদ্রী লেক, ডিসি পার্ক সাজিয়ে রয়েছে অপরূপ সৌন্দর্যে। যান্ত্রিক কোলাহল থেকে মুক্ত নির্জন গাছের ছায়া পেতে বারেক টিলা, নিলাদ্রী লেক, ডিসি পার্ক ও টাঙ্গুয়া হাওরের বিকল্প নেই। বারেকটিলা, নিলাদ্রী লেক ও টাঙ্গুয়া হাওরে আছে সবুজের সমারোহ, দিগন্ত বিস্তৃত সাদা মেঘের খেলা, ছোট বড় পাথর ছড়ানো চারপাশ, চারদিকে পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ। এই অপরূপ দৃশ্য দেখে মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই পর্যটকদের।
তাহিরপুর উপজেলার দর্শনীয় স্থানের মধ্যে ৩৬০ আওলিয়ার অন্যতম সফরসঙ্গী হযরত শাহ আরেফিন (র.) আস্তানা, অদৈত্ব মহা প্রভুর আখড়া বাড়ি, আখড়া বাড়ির সামনেই দাঁড়িয়ে আছে এশিয়া মহাদেশের সব ছেয়ে বড় শিমুল বাগান, উঁচু নিচু বারেকটিলা, সীমান্ত নদী যাদুকাটা, বড়ছড়া- চারাগাঁও, বাগলী শুল্কস্টেশন, টেকেরঘাট ডিসি পার্ক, শহীদ সিরাজী লেক (নিলাদ্রী লেক), শহীদ বীরবিক্রম সিরাজসহ অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধার গণকরব ও শহীদ সমাধি এবং দেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট টাঙ্গুয়া হাওর উল্লেখযোগ্য।
এখানে আসলে পর্যটকদের সীমান্তঘেঁষা যাদুকাটা নদীর ছলছল স্বচ্ছ পানি দেখে মনে আনন্দ জেগে না উঠার উপায় নেই পর্যটকদের।
উঁচু নিচু বারেক টিলার উপর দাঁড়িয়ে যাদুকাটা নদীর অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। যাদুকাটা নদীর তীরে উত্তরে টিলার মধ্যে রয়েছে হযরত শাহজালাল (র.) এর সফরসঙ্গী ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম ওলী শাহ আরেফিন (রহ.) আস্তানা। শাহ আরেফিন (রহ.) আস্তানায় প্রতিনিয়ত দর্শনার্থীরা ভিড় জমায়। যা দেখলে পর্যটকদের মন ভরে যাবে। বারেক টিলার পাশ্চিমে রয়েছে বড়ছড়া, চারাগাঁও, বাগলী শুল্কস্টেশন। শুল্কস্টেশনের সঙ্গেই টেকেরঘাট ডিসি পার্ক, শহীদ সিরাজী লেক (নিলাদ্রী লেক)।
টেকেরঘাট ডিসি পার্ক খেয়া ঘাট থেকে ইনজিন চালিত ছোট বড় নৌকা নিয়ে পাটলাই নদী ভ্রমণ করে দেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট টাঙ্গুয়া হওরের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। পাটলাই নদীর দুই ধারের করচ গাছ পর্যটকদের দৃষ্টি ও হৃদয় কেড়ে নেয়। নৌকা থেকে ভারতের মেঘালয় পাহাড় মন ভরে দেয়। টাঙ্গুয়া হাওরে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে একটি বিশাল ওয়াস টাওয়ার আর ওয়াস টাওয়ারের নিচেই সুবিশাল চির সবুজের বেষ্টনী। সারি সারি হিজল গাছ, করচ গাছ, নলখাগড়া হাওরে বুকে মায়ের স্নেহ দিয়ে আগলিয়ে রেখেছে। টাঙ্গুয়ায় শীত মৌসুমে সুদূর সাইবেরিয়া, চীন, মংগোলিয়া, নেপালসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে হাজারো মাইল পথ পাড়ি দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয় টাঙ্গুয়া হাওর আঙ্গিনা।
যোগাযোগ: দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকা সায়েদাবাদ এসে মামুন, শ্যামলী ও এনা বাস দিয়ে সুনামগঞ্জ আবদুর জহুর সেতুতে নামুন। আপনার জনপ্রতি ভাড়া নিবে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। সুনামগঞ্জ সেতু থেকে মোটর সাইকে, সিএনজি অথবা লাইটেস-কার নিয়ে সহজে চলে আসুন তাহিরপুর সদন অথবা লাউড়েরঘর বিজিবি ক্যাম্পের সামনে। আপনার মোটরসাইকেল জনপ্রতি নিবে ১শ টাকা, সিএনজি নিবে দেড়শ’ টাকা, লাইটেস কার রিজার্ভ নিবে এক হাজার টাকা। আপনি যদি তাহিরপুর সদরে আসনে তাহলে খেয়াঘাট থেকে সারা দিনের জন্য বড় একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে উল্লেখযোগ্য স্পটগুলো দেখতে পারবেন। আপনার নৌকা ভাড়া নিবে পনেরশ’ থেকে দুই হাজার টাকা। আর যদি লাউড়েরঘর এলাকা দিয়ে আসেন তাহলে আপনার সারা দিনের জন্য মোটরসাইকে ভাড়া নিবে ৫০০ টাকা। হাওর ভ্রমণের সময় অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট সঙ্গে রাখবেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর