শরণার্থী বিষয়ে জার্মানি ও গ্রিসের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ খবর নিশ্চিত করেছে। মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, গ্রিসে যারা প্রথম আশ্রয় চেয়েছিলেন কিন্তু বর্তমানে জার্মানিতে অবস্থান করছেন তাদের গ্রিসেই ফেরত পাঠানোর বিষয়ে একমত হয়েছে দুই দেশ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডয়চে ভেল।
খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই এ ধরনের চুক্তিতে আসার চেষ্টা করছে জার্মানি। যারা এরই মধ্যে অন্য কোনো ইউরোপীয় দেশে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন, তাদের সেসব দেশে এই চুক্তি অনুযায়ী ফেরত পাঠাতে পারবে জার্মানি। তাই চুক্তি অনুযায়ী এখন এথেন্সকে তাদের দেশে আশ্রয়ের আবেদন করেও অস্ট্রিয়া সীমান্ত পার হয়ে জার্মানিতে ঢুকে পড়া শরণার্থীদের ফেরত নিতে হবে। তবে বিনিময়ে এথেন্স কী পাবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
এর আগে স্পেনের সঙ্গে করা চুক্তিতেও এমন বিষয় ছিল। মরক্কো থেকে ভূ-মধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে এসব শরণার্থী স্পেনে আসেন।
সেখানে আশ্রয়ের আবেদনও করেন। কিন্তু পরে জার্মানিতে চলে আসেন। এসব শরণার্থীর সংখ্যা খুব বেশি নয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসেবে, গত জুন থেকে অস্ট্রিয়া সীমান্ত দিয়ে গ্রিস থেকে জার্মানি আসা শরণার্থীর সংখ্যা দেড়শ’র বেশি হবে না।
জার্মানির এমন দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করতে উঠে-পড়ে লাগার কারণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার। তিনি জোট সরকার ভেঙে দেয়ার হুমকি দেয়ার পর শরণার্থী সংক্রান্ত কিছু বিষয়ে আপস করতে বাধ্য হন চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। সেহোফার দক্ষিণের সীমান্ত একেবারে বন্ধই করে দিতে চাইছিলেন।
এদিকে, ইতালি সঙ্গেও একই রকমের সমঝোতায় আসতে চাইছে জার্মানি। কথাবার্তা অনেকটাই এগিয়েছে বলে জানা গেলেও ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও সালভিনি বাগড়া দিতে পারেন। তিনি অভিবাসনবিরোধী লিগ পার্টির নেতা। গত সপ্তাহেই ম্যার্কেল ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, সমঝোতা করতে প্রয়োজনে তিনি ইতালি সফর করবেন।