পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হলেন সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান। রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে ইমরানের এই উত্তরণ বেশ চমকপ্রদ। কিন্তু ইমরান খানই প্রথম নন, তার মতো একাধিক সফল রাজনীতিবিদ রয়েছেন, যারা এককালে কেউ বক্সার, কেউ ফুটবলার, কেউ বা অন্য কোনো খেলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
জর্জ উইয়া: আফ্রিকার দেশ লাইবেরিয়ার সাবেক ফুটবলার। ২০০৩ সালে ফুটবলকে বিদায় জানান। তারপর থেকেই রাজনীতিতে পদার্পণ। বর্তমানে তিনি পশ্চিম আফ্রিকার দেশ লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট। ১৯৯৫ সালে বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জেতেন উইয়া।
আরনল্ড শোয়ার্জনিগার: হলিউডের একাধিক হিট ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু আরনল্ড একজন ক্রীড়াবিদও।
অভিনয় জগতে আসার আগে একজন বডি বিল্ডার হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। ২০০৩ সালে আরনল্ড ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৭-১১ মেয়াদে ফের গভর্নর নির্বাচিত হন তিনি।
রোমারিও: ১৯৯৪ সালে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জেতার অন্যতম কারিগর ছিলেন রোমারিও। ব্রাজিল ফুটবলে পেলে ও রোনাল্ডোর পরই রোমারিওর নাম নেয়া হয়। বর্তমানে তিনি ব্রাজিলের সিনেটর। চলতি বছরের শেষের দিকে রিও ডি জেনিরোর গভর্নর পদের জন্য নির্বাচনে লড়বেন রোমারিও।
নভোজিৎ সিং সিধু: রাজনীতি ও টেলিভিশনের দৌলতে সিধুর ক্রিকেটিং ক্যারিয়ার এখন অনেকটাই ধামাচাপা পড়ে গেছে। ভারতীয় জাতীয় দলের অন্যতম ওপেনার ছিলেন তিনি। সিধু ২০০৪ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৭ সালে দলবদল করে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। বর্তমানে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহের মন্ত্রিসভার সদস্য।
অর্জুনা রানাতুঙ্গা: ১৯৯৬ শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক ছিলেন রানাতুঙ্গা। ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পর পুরোদমে রাজনীতিতে জড়ান তিনি। বর্তমানে শ্রীলঙ্কার পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী রানাতুঙ্গা।
সনৎ জয়সুরিয়া: তিনিও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন। ২০১০ সালে শ্রীলঙ্কার মাতারা অঞ্চলের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে অবশ্য ফের ক্রীড়াজগতে ফেরেন। ২০১১ সালে জতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেন জয়সুরিয়া।
ম্যানি প্যাকিয়াও: তিনি বক্সার ছিলেন। রিংয়ে ধরাশায়ী করতেন প্রতিপক্ষকে। জন্মস্থান ফিলিপাইনের প্রতি ভালোবাসা থেকেই ম্যানির রাজনীতিতে আসা। ২০১০ সালে দেশটির হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের সদস্য হন। ২০১৩ সালে পুনর্র্নিবাচিত হন তিনি।
জিম রায়ান: ট্র্যাকে চিতার মতো দৌড়াতেন তিনি। ৮৮০ মিটার হার্ডলসে বিশ্বরেকর্ড রয়েছে তার। ১৯৬৮ সালে অলিম্পিকে ১৫০০ মিটার দৌড়ে রুপা জেতেন। খেলার মতো রাজনৈতিক জীবনেও সফল হন তিনি। ১৯৯৬ সালে রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে আমেরিকার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের সদস্য হন।
ইমরান খান: পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক। তার নেতৃত্বে ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জেতে পাকিস্তান। খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর ১৯৯৬ সালে তিনি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ নামে একটি দল গঠন করেন। এবার পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে তার দল ১১৫ আসনে জয়ী হন। সংখাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন ইমরান খান।