× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ড্র করলেই নকআউট পর্বে বাংলাদেশ

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৯ আগস্ট ২০১৮, রবিবার

এশিয়ান গেমসের ‘বি’ গ্রুপে খেলছে বাংলাদেশ। এই গ্রুপের অন্য তিন দল ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ৯৬তম স্থানে থাকা উজবেকিস্তান, ৯৮তম স্থানে থাকা কাতার ও ১২২তম স্থানে থাকা থাইল্যান্ড। স্বাভাতিকভাবেই এদের টপকে নকআউট পর্বে সুযোগ পাওয়া দুরূহ কাজ বাংলাদেশের। শুরুর ম্যাচে উজবেকিস্তানের কাছে ৩-০ গোলে হার দেখে সুফিল-জাফররা। তবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে এক ড্র’তেই পাল্টে যায় গ্রুপের দৃশ্যপট। সঙ্গে যোগ হয়েছে আসরে কাতারের মলিন পারফরমেন্স। এই দুইয়ের যোগসূত্রেই এশিয়ান গেমসের ফুটবলে নকআউট পর্বের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। আজ ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ৯৬ ধাপ এগিয়ে থাকা কাতারের সঙ্গে ড্র করতে পারলেই প্রথমবারের মতো নকআউট পর্বে জায়গা পাবে বাংলাদেশ।
জাকার্তার প্রেট্রিয়ট চান্দ্রাবাগায় খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায়।
এবারের এশিয়াড ফুটবলে ২৬টি দল খেলছে। ছয় গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপরা সরাসরি চলে যাবে নকআউট পর্বে। এই ১২ দলের সঙ্গী হবে ছয় গ্রুপের সেরা তৃতীয় স্থান পাওয়া চার দল। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশকে ৩-০ এবং কাতারকে ৬-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে উজবেকিস্তান। এই গ্রুপে রানার্সআপ হয়ে পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের। দুই ম্যাচে এক ড্র নিয়ে বাংলাদেশের পয়েন্ট ১ ও দুই ড্র’তে থাইল্যান্ডের ২। আজ গ্রুপ পর্বে উজবেকিস্তানের সঙ্গে শেষ ম্যাচ খেলবে থাইল্যান্ড। বাংলাদেশ যদি কাতারকে হারাতে পারে, আর থাইল্যান্ড যদি উজবেকিস্তানের কাছে হেরে যায় সেক্ষেত্রে  তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়াডের শেষ ষোলোর টিকিট পাবে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। থাইল্যান্ড ড্র করলেও সমস্যা হবে না বাংলাদেশের। তবে দুটি ম্যাচই যদি অমীমাংসিতভাবে শেষ হয় সেক্ষেত্রে ৩ ড্রতে গ্রুপ রানার্সআপ হিসেবে নকআউট পর্বে উঠবে থাইল্যান্ড। বাংলাদেশের অপেক্ষায় থাকতে হবে গ্রুপের সেরা তিন হিসেবে নকআউট পর্বে ওঠার। সাম্প্রতিক সময়ে কাতারের মলিন পারফরমেন্সই স্বপ্ন দেখাচ্ছে বাংলাদেশকে। আসরে উজবেকিস্তানের কাছে ৬-০ গোলে হার দেখে কাতার। থাইল্যান্ডের সঙ্গে কাতারের ম্যাচটি ড্র হয় ১-১ গোলে। থাইল্যান্ড ম্যাচের পর মূল একাদশের খেলোয়াড়দের একদিন বিশ্রাম দিয়েছিলেন জেমি ডে। গতকাল পুরো দল নিয়ে ম্যাচ ভেন্যুতে ঘণ্টাখানেক অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ। কাতার ম্যাচের আগে বাংলাদেশের বৃটিশ কোচ জেমি ডে’কে ভরসা যোগাচ্ছেন দলের তরুণ ফুটবলাররা। কোচের কাছে এই দলটির মানসিক শক্তি প্রবল। তারা হারার আগে হার মানে না।
তরুণ ফুটবলারদের এমন মানসিকতা দেখা যাচ্ছে গত বছরের অনূর্ধ্ব-১৮ সাফ থেকে। ভারতের বিপক্ষে প্রথমার্ধে তিন গোল হজমের পরে দ্বিতীয়ার্ধে চার গোল দিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার ঘটনাটি ইতিহাস হয়ে আছে। সেই দলের অনেকেই জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়ে গত মার্চে লাওসের বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে পড়া ম্যাচে শেষ পর্যন্ত  ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল। সেদিনও গোল করেছিলেন সুফিল। থাইল্যান্ড ম্যাচে তার গোলেই এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। লাওস ম্যাচে অন্য গোলটি করেন আরেক সম্ভাবনাময় তরুণ জাফর ইকবাল। এদের নিয়ে কাতার বধের কৌশল সাজাচ্ছেন  বাংলাদেশ দলের কোচ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর