× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শেষটা ভালো হলো না মেয়েদের

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৯ আগস্ট ২০১৮, রবিবার

বাংলাদেশ ০-১ ভারত
শেষটা ভালো হলো না মেয়েদের। ভাগ্য সহায় না থাকায় টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতা হলো না মারিয়া-তহুরাদের। গতকাল থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভারতের কাছে ১-০ গোলে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয়ে গেল বাংলাদেশের। আটমাস আগে ঢাকায় অনুষ্ঠিত গত আসরের ফাইনালে এই ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিলো মেয়েরা।
দুই দলের শক্তিমত্তার তুলনায় যথেষ্ট এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। শারীরিক ফিটনেস, কৌশল, বলের নিয়ন্ত্রণ, পারস্পরিক বোঝাপড়া ও গতিতে বাংলাদেশের মেয়েদের সঙ্গে পারাটা বেশ কঠিনই ছিল ভারতীয় মেয়েদের। ফাইনালের আগে সেটা অকপটে স্বীকার করেছেন ভারতীয় কোচ ডি সুজা। তারপরও গত বছর এই ভারতকেই সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ টুর্নামেন্টে দু’বার হারিয়েছিল বাংলাদেশ। লীগ পর্বে ৩-০ গোলে হারানোর পর ফাইনালে বাংলাদেশ জেতে ১-০ গোলে।
বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় সর্বশেষ পাঁচবারের মুখোমুখিতে বাংলাদেশ জিতেছে চারবার। ঢাকায় ২০১৪ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে ভারতের মেয়েরা ২-১ গোলে জিতেছিল। এরপর ২০১৬ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপে তাজিকিস্তানে গ্রুপ পর্বে ভারতকে হারিয়েছিল ৩-১ গোলে। ফাইনালে ভারতকে হারায় ৪-০ গোলে। ওই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে তহুরা। এরপর ঢাকায় সাফের টুর্নামেন্টে টানা দুই জয়। এই আসরেও ভারতের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে ছিলো বাংলাদেশ। ফাইনালের আগের তিন ম্যাচে ২২ গোল দেয়ার বিপরীতে কোনো গোল হজম করেনি বাংলাদেশের গোলরক্ষক মাহমুদা। সেখানে ভারতীয় দিয়েছিল ১৫ গোল। তাদের জালে একটি বল প্রবেশ করিয়েছিল নেপাল। বাংলাদেশ দলের শুধু গোলরক্ষক মাহমুদা, ডিফেন্ডার নাজমা ও নীলাই টুর্নামেন্টে কোনো গোল পায়নি। সেরা একাদশের বাকিদেরই গোল রয়েছে। ৪টি করে গোল করে এরই মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার লড়াইয়ে ভারতের সিল্কি দেবীর সঙ্গে ছিলেন
তহুরা খাতুন। কিন্তু গতকালের ফাইনালে সেই তহুরাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ম্যাচের প্রথমার্ধে অগোছালো ফুটবলে একমাত্র সহজ সুযোগটিও নষ্ট করেন এই ফরোয়ার্ড। দ্বিতীয়ার্ধে তুলনামূলক ভালো খেলেছে বাংলাদেশ। তিনটি শট পোস্টে লেগেও প্রতিহত হয়েছে এই অর্ধে। তবে ম্যাচের ৬৮ মিনিটে কাজের কাজটি করে ফেলে ভারত। খেলার ধারার বিপরীতে সুনিতা মান্ডার গোলে লিড পায় গতবারের রানার্সআপরা। এরপর গোল পরিশোধে মরিয়া গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা চেষ্টা করেছে। আক্রমণও শানিয়েছে বেশ কয়েকবার। কিন্তু কাজের কাজটি করতে পারেনি মারিয়া, তহুরা, আঁখিরা। এতেই শেষ পর্যন্ত এক গোলের লিড ধরে রেখেই শিরোপা উল্লাস করে ভারতীয় কিশোরীরা।   
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর