× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পার্টনার অন্য শহরে থাকলে যে ছ’টি কাজ

রকমারি

অনলাইন ডেস্ক
১৯ আগস্ট ২০১৮, রবিবার

কাজের সুবাদে আপনিও অন্য শহরে যেতে পারেন বা আপনার মনের মানুষও। সেটা হতে পারে অল্প সময়ের জন্য। আবার দু’এক বছরের জন্যেও দূরে যেতে পারেন পার্টনার। যে সময়ে সঙ্গী বা সঙ্গিনী কাছে নেই, সেই সময়টাই হল সম্পর্কের আসল অ্যাসিড টেস্টের সময়। কতটা মজবুত সম্পর্কের ভিত, সেটা বোঝা যায় এই ‘লং ডিসট্যান্স’ পর্যায়ে। দীর্ঘদিন একই ছাদের তলায়, একই শহরে না থেকেও যদি সম্পর্ক ততটাই উষ্ণ থাকে, যেমনটা ছিল প্রেমের প্রথম দিকে, তবে সেই সম্পর্ক চিরস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

এই দূরে থাকার সময়ে যদি ছ’টি বিষয় মেনে চলা যায়, তবে সেটা সম্পর্ককে মজবুত করতে সাহায্য করে—

১) সম্পর্কের স্বচ্ছতা সব সময়েই সম্পর্ককে ভাল রাখে। দূরে রাখলে সেই স্বচ্ছতা বজায় রাখার দায়িত্বটা আরও বেড়ে যায়।
কারণ সঙ্গী তখন চোখের আড়ালে। সারাদিন কোথায় যাচ্ছেন, কী করছেন তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা না করলেও, মোটামুটি আপডেট দিয়ে রাখলে ভাল। এতে সঙ্গীর সন্দেহপ্রবণ হওয়ার সম্ভাবনাটা কমে। 

২) দিনে অন্তত একবার দূরভাষে কথা বলাটা জরুরি, পাঁচ মিনিটের জন্য হলেও। এটাকে বাধ্যবাধকতা যদি মনে হয়, তা হলে বলতে হবে সম্পর্কের ভিতটাই দুর্বল। কারণ, ভালবাসা থাকলে মনের মানুষের সঙ্গে দিনান্তে অন্তত একবার কথা বলতে ইচ্ছে করাটাই খুব স্বাভাবিক। তবে যদি কেউ কোনও দুরূহ কাজে থাকেন বা এমার্জেন্সি সার্ভিস করেন, সেক্ষেত্রে ব্যাপারটা আলাদা। 

৩) সঙ্গী যখন আলাদা শহরে, তখন অচেনা বা অল্প চেনা কারও সঙ্গে কফি বা ডিনার বা লাঞ্চ খেতে যাওয়ার আগে, এক বার তাঁকে জানিয়ে রাখাটা বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ দূরে থাকলে যে কোনও মানুষের মধ্যেই সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে নিয়ে এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতা কাজ করে। তাঁকে না জানিয়ে কোথাও গেলে তিনি ভুল ভাবতে পারেন। 

৪) প্রেমের সম্পর্কের মধ্যে যৌনতা একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। ইদানীং লং ডিসট্যান্স সম্পর্কগুলিতে ফোন সেক্স বা ভিডিও সেক্সের প্রবণতা অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। এই ট্রেন্ড ভাল কি মন্দ, সেটা এক কথায় বলার নয়। যদি দু’জনেই এতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন, তবে অসুবিধা নেই। এতে দূরে থেকেও ভালবাসার মানুষকে কাছে পাওয়ার অনুভূতিটা তীব্র হয়। 

৫) সঙ্গী বা সঙ্গিনী যখন দূরে তখন অন্য বন্ধু বা বান্ধবীদের সঙ্গে খুব বেশি পার্টি করে না বেড়ানোই ভাল। অত্যন্ত সংবেদনশীল পার্টনারেরও এতে মন খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

৬) মনের মানুষ দূরে রয়েছেন বলে সব সময়ে শোকাচ্ছন্ন থাকাটা একেবারেই কাজের কথা নয়। নিজের মনকে ঠিক রাখার দায়িত্বটা নিজেরই। পার্টনার কাছে থাকলে বা একই শহরে থাকলে যেমন হাসিখুশি থাকতেন, তেমনটাই থাকুন। এতে দূরে থাকা মানুষটিও ভাল থাকবেন। যাঁরা সাজতে ভালবাসেন, তাঁরা সঙ্গী দূরে আছেন বলে সাজগোজ ছেড়ে দেবেন না। বরং সেজেগুজে ছবি তুলে সঙ্গীকে পাঠান। আপনার সুস্থ ও সুন্দর থাকাটাই তাঁর ভাল থাকার ইন্সপিরেশন।  

সূত্র: এবেলা
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর