বাল্যবিবাহ মৃত্যু ঝুঁকির কারণ বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে। এ বিষয়ক বিভিন্ন লিফলেট, ব্যানার ও সংবাদপত্রে সরকারের ভূমিকাও তুলে ধরেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এর আলোকে বাল্যবিবাহকে না বলুন সুস্থ সুন্দর জীবন যাপন করুন। এ প্রতিপাদ্যকে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গোলমুণ্ডা ইউনিয়নের নিকাহ্ ও বিবাহ তালাক রেজিস্ট্রার কাজী মোশাররফ হোসাইন স্ব-উদ্যোগে এ ভাইরাসকে সমাজ থেকে প্রতিহত করতে সৃষ্টি করেছেন জনমত। বিভিন্ন ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন তিনি ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়েছেন উপজেলার সর্বত্র। এমনকি এ বিষয়ে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সচেতন করতে সাহায্য নিয়েছেন মিডিয়া ও উপজেলা প্রসাশনের। গতকাল একান্ত সাক্ষাৎকারে কাজী মোশাররফ হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রামাঞ্চলে এ প্রবণতা অনেকটাই বেশি। বিশেষ করে নিরক্ষরতা, অজ্ঞতা প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নাজুক থাকায় দরিদ্র ঘরের পিতা-মাতারা মেয়ে সন্তান ঘরে থাকলেই তাড়াতাড়ি বিদায় দেয়ার ব্যবস্থা করে থাকেন।
এ বিষয়ে গোলমুণ্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হোসাইন জানান, কাজী মোশাররফ যা করছেন তা নিঃসন্দেহে ফলপ্রসূ। উপজেলা প্রসাশন থেকে আমাকে কয়েকবার তাগাদা দেয়া হয়েছে আমার এলাকায় বাল্যবিবাহ রোধকল্পে। এর আলোকে কয়েকটি বিবাহ আমি বন্ধ করেছি তবে প্রসাশনিক চাপ এ ইউনিয়নে রয়েছে। সম্প্রতি এ বিষয়ের ওপর আলোপাত করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি জহির ইমাম। তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমি জলঢাকায় না থাকলেও বর্তমান ইউএনও এবং এরপর যারা আমার চেয়ারে থাকবেন শুধু গোলমুণ্ডা ইউনিয়নে নয়, পৌরসভাসহ বাকি ইউনিয়নে ও রোধকল্পে কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। গোলমুণ্ডা ইউনিয়নের মতো যদি বাকি ইউনিয়নগুলোর কাজীরা এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তাহলে বাল্যবিবাহ থেকে মুক্ত হতো পুরো উপজেলা।