কোরবানি ঈদের আর হাতেগোনা দুই দিন বাকি। এরই মধ্য গরম মসলা কেনাবেচার ধুম পড়েছে। ঈদকে সামনে রেখে চাল, চিনি, লবণ, রসুন ও মাংসের চড়া দামের মধ্যে এবার মসলা কিনতেও বাড়তি ব্যয় করতে হবে ক্রেতাদের। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মসলার দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ দুটি। একদিকে বাজেটে সরকার মসলা আমদানিতে শুল্ক বাড়িয়েছে, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারদরও বেড়েছে। তবে বাজারে প্রায় স্থিতিশীল রয়েছে হলুদ ও ধনিয়ার দাম। গুঁড়া হলুদ ২৪০ টাকা কেজি আর ধনিয়া ৩০০ টাকা। আর প্রতি ১০০ গ্রাম পাঁচফোড়নের জন্য বাজারভেদে গুনতে হবে ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং কালিজিরা ২৫ টাকা।
বাজারে সাদা সরিষা ও কালো সরিষার দাম প্রায় একই। খুচরা বাজারে এগুলোর দাম ধরা হচ্ছে প্রতি ১০০ গ্রাম ৩০ টাকা। আর গোল মরিচ প্রকারভেদে ৮০ থেকে ৯০ টাকা প্রতি ১০০ গ্রাম এবং জায়ফল রাখা হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকা প্রতিপিস। এছাড়া কিশমিশের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা ও দারুচিনি কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে খুচরা পর্যায়ে। তবে গোলমরিচ, লবঙ্গসহ অন্যান্য মসলার দামে হেরফের হয়নি। অবশ্য মসলার দামে খুচরা ও পাইকারি বাজারের পার্থক্য অনেক। এসব পণ্য যেহেতু খুব কম পরিমাণে বিক্রি হয়, সেহেতু খুচরা ব্যবসায়ীদের মধ্যে লাভ বেশি করার প্রবণতা দেখা গেছে সব বাজারেই। আর মসলার দাম আরো একটু বাড়তে পারে বলেও এসময় জানিয়েছেন বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা।
আগের তুলনায় এখন কেনাকাটায় একটু স্বস্তি পাওয়া যাবে ভেবেই মসলার বাজারে আসছেন অনেকে। তাদের জন্যই যেন মসলার দাম ব্যবসায়ীরা খুচরা পর্যায়ে বাড়িয়েছেন।
শ্রীমঙ্গল নতুনবাজার রোডস্থ বাজারের খুচরা বিক্রেতা মো. সেলিম আলী বলেন, কিছুদিন আগেও জিরা কেনা যেত কেজিপ্রতি ৩৩০ টাকা দরে, এরপর সেটা ৩৫০ টাকা হলো। এখন কিনতে হচ্ছে ৩৮০ টাকা কেজি দরে। এলাচির দামও বাজেটের পর কেজিতে ১৫০-২০০ টাকা বেড়েছে। আর কোরবানির ঈদ সামনে রেখেতো এমনিতেই কিছু মসলার দাম বাড়ে।