হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে আবারো অনশনে সেই কলেজছাত্রী হোসনেয়ারা। ঘটনাটি ঘটেছে, শনিবার সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের ছোট পওতা গ্রামে। জানা গেছে, একই ইউনিয়নের বস্তুল গ্রামের দরিদ্র বাবা আব্দুল হামিদের মেয়ে তাড়াশ বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজের বিএ শেষ বর্ষের ছাত্রী হোসনেয়ারা খাতুন (২০) এর সঙ্গে ছোট পওতা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য প্রভাবশালী হাসান আলীর ছেলে মাসুদ রানার সঙ্গে ৬ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এরই একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে মাসুদ রানা মেয়েটির সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। গত সোমবার গোপনে মাসুদ রানার বিয়ের সংবাদ পেয়ে হোসনেয়ারা তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মাসুদ রানা তাকে তার বাড়িতে আসতে বলে উধাও হয়ে যায়। উপায়ন্তর না পেয়ে সোমবার হোসনেয়ারা মাসুদের বাড়িতে অনশন শুরু করেন। ৪ দিনের লাগাতার অনশনের পর গত বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ওসি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অনশনরত অবস্থায় মেয়েটিকে তার বাবার জিম্মায় দেন।
নিরুপায় হয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাতেই মেয়েটি কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরিবারের অন্য সদস্যরা জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে ভর্তি করে। দুই দিনের চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে হোসনেয়ারা শনিবার আবারো প্রেমিক মাসুদের বাড়িতে অনশন শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে হোসনেয়ারা বলেন, প্রভাবশালী প্রতারক মাসুদের প্রেমের খপ্পরে পড়ে আমি সব হারিয়েছি। এখন স্ত্রী’র অধিকার নিয়ে ফিরবো, না হয় লাশ হয়ে ফিরবো। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন মুক্তা জানান, ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, এ বিষয়ে গত শনিবার “স্ত্রী’র অধিকার না পেয়ে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা” শিরোনামে মানবজমিনে সংবাদ প্রকাশিত হয়।