নাটোরে টিউবওয়েল স্থাপনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১২ জনকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুই জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টার দিকে নাটোর সদর উপজেলার গোয়ালডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী জালাল উদ্দিন আহম্মেদ ও এলাকাবাসী জানান, সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের টিউবওয়েল বসানোর মিস্ত্রি আব্দুর রাজ্জাক ও বাবলু শাহর মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এরই একপর্যায়ে আব্দুর রাজ্জাক ক্ষিপ্ত হয়ে বাবলু শাহর ওপর হামলা চালায়। এ সময় বাবলু শাহর সমর্থকরা ঘটনাটি দেখতে পেয়ে তাদের থামাতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৭ জন আহত হয়।
পরে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ১২ জনকে এবং বাকিদের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করে। পরে নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই জনের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে, এ ঘটনায় এখনো কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। আহতরা হলেন- সদর উপজেলার গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের মৃত লবু সরদারের ছেলে রেজাউল সরদার (৩৫), ফজলুর রহমান (৪০), নবী সরদার (৪২), আলতাফ সরদার (৩৫), আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সোহল সররদার (২০), রেজাউল সরদারের স্ত্রী মীরা সরদার (২৪), নবীর উদ্দিন শাহর ছেলে বাবলু শাহ (৫৫), নবীর উদ্দিনের মেয়ে নুর নাহার (৩০), আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সোহাগ (১৬) আয়নাল সরদারের ছেলে কামরুল সরদার (২৫), সদর উপজেলার কৃষ্টপুর গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে সোহাগ (১৮) ও সদর উপজেলার হুগোলবাড়ীয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী সাবিনা খাতুন (২৫)। এদের মধ্যে অবস্থার অবনতি হওয়ায় রেজাউল সরদার ও নবী সরদারকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।