ছাত্রদলের রাজু হত্যায় জড়িত রকিব, দিনারদের দল থেকে বহিষ্কার ও খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি করেছে রাজুর সহকর্মী ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ। খুনের এক সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো খুনিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। উল্টো খুনের প্রতিবাদকারী তিনজন সহকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রশাসনের এ কার্যকলাপে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ছাত্রদল নেতারা। রোববার সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান এমসি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল আজাদ রানা। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রাজু হত্যার সঙ্গে জড়িত খুনিদের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নমনীয় আচরণ করলে ছাত্রদলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। সিলেট ছাত্রদরের গৌরবময় ইতিহাসকে অক্ষুণ্ন রাখতে এরকম সন্ত্রাসীদের সংগঠন থেকে বের করে দেয়া একান্ত জরুরি। গত ১১ই আগস্ট নগরীর কুমারপাড়া এলাকায় ছাত্রদল নামধারী আব্দুল রকিব চৌধুরী ও হাজী দিলোয়ার হোসেন দিনারের নেতৃত্বাধীন কতিপয় সন্ত্রাসীর হাতে খুন হন আমাদের মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহপ্রচার সম্পাদক ফয়জুল হক রাজু। এ সময় সন্ত্রাসী হামলা আহত হয়েছেন জাকির হোসেন উজ্জ্বল ও সালাউদ্দিন লিটন। জাকির হোসেন উজ্জ্বলের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন। খুনের এক সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো খুনিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। রানা বলেন, ১৩ই জুন সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। নবগঠিত কমিটিকে ভারসাম্যহীন আখ্যায়িত করে কমিটি বাতিলের দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছিলাম। আমরা কমিটি বাতিলের দাবিতে মিছিল-মিটিং, স্মারকলিপি, সংবাদ সম্মেলন করেছি। কমিটি বিরোধী আন্দোলনে থাকাবস্থায় সিলেট বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, সিলেট বিএনপির সাংগঠনিক দায়িত্ব প্রাপ্ত, বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের নেতৃবৃন্দ পৃথকভাবে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, সিসিক নির্বাচনের পরপর কমিটির বিষয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে সুষ্ঠু সমাধান করা হবে। নেতৃবৃন্দের কথায় আশ্বস্ত হয়ে কমিটি বিরোধী আন্দোলন স্থগিত করে সিসিক নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে সক্রিয়ভাবে দিন-রাত পরিশ্রম করে বিজয় নিশ্চিত করেছি যা আপনারা ও সিলেট বিএনপির সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ অবগত রয়েছেন।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বিজয় মিছিলের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কাঁধে দেয়া হলো আমাদের সহকর্মী রাজুর লাশ। অথচ এই রাজু স্থগিত হওয়া দুই কেন্দ্রে ভোট ডাকাতি রুখতে সকাল ৭টা থেকে অতন্দ্র প্রহরী ন্যায় দায়িত্ব পালন করেছিল। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা ছাত্রদলে সিনিয়র সহসভাপতি নজরুল ইসলাম (পদত্যাগী), জেলা সহসভাপতি মাশরুর রাসেল (পদত্যাগী), মহানগর ছাত্রদলের সহসভাপতি সুহেল রানা (পদত্যাগী), জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক সুহেল ইবনে রাজা (পদত্যাগী), জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রাজু (পদত্যাগী), মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক শাকিলুর রহমান শাকিল (পদত্যাগী), মহানগর ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন প্রমুখ।