টাঙ্গাইলে বেশিরভাগ স্মার্টকার্ডে ভুল থাকায় সাধারণ মানুষ চরমভাবে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। ফলে দিনের পর দিন জেলা নির্বাচন অফিসে ভিড় করছেন ভুক্তভোগীরা। আর সেই ভুল কার্ডগুলো সঠিক করতে আবার ২১৫ টাকা করে গুনতে হবে তাদের। গতকাল সকালে জেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে দেখা যায়, স্মার্টকার্ড নিতে আসা সাধারণ মানুষের দীর্ঘ লাইন। তারা সবাই স্মার্টকার্ড নিতে এসেছেন। কেউ কেউ নিয়েছেনও। কিন্তু তাদের পূর্বের ভোটার কার্ডের সঙ্গে সদ্য বিতরণ করা স্মার্টকার্ডের কোনো মিল নেই। কারো নাম, আবার কারো জন্ম তারিখ সম্পূর্ণই ভুল।
এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন তারা। তারা অভিযোগ করে বলেন, অভিজ্ঞতা সম্পন্ন জনবল না থাকায় স্মার্টকার্ডে এ ধরনের ভুল হয়েছে। টাঙ্গাইল পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ডের মো. মোবারক হোসেন তার কার্ডের আইডি নং ৮২৫৩৯৭৪৪৩৩। তিনি সকালে পূর্বনির্ধারিত স্থানে জেলা সদর স্কুলে যান স্মার্টকার্ড আনার জন্য। সেখানে গিয়ে তিনি তার কার্ড সংগ্রহ করে দেখেন তার জন্ম তারিখ (স্লিপ অনুযায়ী) ১৯৯৫ সালের ২০শে নভেম্বরের স্থলে ২৫শে জানুয়ারি ১৯৯৫ উল্লেখ করা হয়েছে। একই ওয়ার্ডের পিযুষ চন্দ্র সরকারের ১৬ই এপ্রিল ১৯৯৬ এর স্থলে দেয়া হয়েছে ১৬ই এপ্রিল ১৯৯৫। এ সময় কথা হয় একই ওয়ার্ডের মো. শাহাদত হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, স্মার্টকার্ড হাতে পাওয়ার পর দেখেন তার নাম ভুল হয়েছে। সঠিক নামের পরিবর্তে তার নামের বানান লেখা হয়েছে শাহাদাত হোসেন। এতে করে তিনি বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েছেন। ২নং ওয়ার্ডের এনায়েতপুর গ্রামের শেখ মনিরুজ্জামান মনির স্মার্টকার্ড সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু তাতে তার নাম ভুলক্রমে মনির হোসেন এবং জন্মতারিখ ২০শে জুলাই ১৯৭৩-এর পরিবর্তে ২০শে জুলাই ১৯৮৫ উল্লেখ করা হয়েছে। এ সময় তিনি জানান, দক্ষ জনবলের অভাবে এধরনের ভুল হয়েছে বলে তিনি মনে করছেন। আর এ কারণে তাদের চরমভাবে বেকায়দায় ফেলা হয়েছে। পরবর্তীতে এই ভুল সংশোধন করতে ২১৫ টাকা করে লাগবে বলে সংশ্লিষ্টরা তাদের জানিয়েছেন। টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম জানান, আগের কার্ডে ভুল থাকায় নতুন করে দেয়া স্মার্টকার্ডেও ভুল হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ভুল হওয়া কার্ডগুলো সংশোধন করা হবে। সে ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের ব্যাংকের মাধ্যমে ২১৫ টাকা জমা দিতে হবে।