লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের বিচারের রায় ৯০ হাজার টাকায় দফারফা করেছেন গ্রাম্য মাতব্বররা। নয়নপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. লোকমান হোসেন লোকার নেতৃত্বে মো. হাতেম, মো. হারুন ও সজীব এবং ধর্ষিতার পরিবার, বাড়ির লোকজনের উপস্থিতিতে ওই রায় প্রদান করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে উপজেলার ৪নং ইছাপুর ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামের আঃ করিম বেপারী বাড়িতে। এদিকে ঘটনার ৫ দিন পার হলেও অদ্যাবদি পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা না হওয়ায় স্থানীয় এলাকার জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অপরদিকে এলাকার মাতব্বরদের চাপে এবং লোকলজ্জার ভয়ে ধর্ষিতার পরিবার থানায় অভিযোগ করতে পারছেন না বলে ওই বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন। অন্যদিনে গ্রাম্য মাতব্বরদের রায়ের ৯০ হাজার টাকা ধর্ষিতার পরিবার বুঝে পেয়েছেন কিনা এমন সংবাদ সংগ্রহের জন্য রোববার সকালে এ প্রতিবেদক সরজমিন ঘটনাস্থলে গেলে সকলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে শালিশদারদের সঙ্গে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদেরও পাওয়া যায়নি।
উল্ল্যেখ্য, গত ১৫ই আগস্ট লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে জোরপূর্বক মুখে কাপড় বেঁধে আয়েশা সিদ্দিকা প্রীতি নামের নয়নপুর হানাফিয়া মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে কামাল হোসেন নামের এক লম্পট টাইলস মিস্ত্রি। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা ৪নং ইছাপুর ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামের আঃ করিম বেপারীবাড়ীতে।
লম্পট কামাল ওই বাড়ির মো. ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সহিদ উল্যা জানান, সালিশের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। ঘটনার সঙ্গে জড়িত পক্ষ-বিপক্ষ কেউ আমাকে কিছু জানাইনি। আর যারা শালিশ করেছে তাদের আমি চিনি না।
রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তোতা মিয়া জানান, এখন পর্যন্ত ধর্ষিতার পরিবারের কেউ থানায় আসেনি। আর অভিযোগ না করলে আমার করার কিছু নাই। আপনি ওই ইউনিয়নের সহদি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেন।