× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জাতীয়করণ হওয়া ২৭১ কলেজ পরিচালনা নিয়ে গোলকধাঁধা

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২০ আগস্ট ২০১৮, সোমবার

সদ্য সরকারি হওয়া ২৭১ কলেজের আর্থিক ও প্রশাসনিক বিষয় কীভাবে পরিচালিত হবে এ নিয়ে গোলকধাঁধায় পড়েছেন অধ্যক্ষরা। সরকারি আদেশ (জিও) জারির পর থেকে দিকনির্দেশনা তৈরি করতে হিমশিম খাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর্থিক বিষয় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) ও অধ্যক্ষের দ্বৈত স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে। আর এসব কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের জিও জারির দিন থেকে বেতন-বোনাস বাবদ কোনো আর্থিক সুবিধা দেয়া যাবে না।

এসব চূড়ান্ত করে ঈদের পরে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে। সূত্র জানায়, সরকারি হওয়ার আগে কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ও অধ্যক্ষের স্বাক্ষরে আর্থিক বিষয় পরিচালিত হতো। গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তে কলেজের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালিত হতো। এর আগে জাতীয়করণে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির পরে গভর্নিং বডির সভাপতির স্বাক্ষরে কলেজগুলোর দৈনন্দিন হিসাব পরিচালনা করার নির্দেশনা জারি করেছিল মন্ত্রণালয়।

গত ১২ই আগস্ট উপ-সচিব নাছিমা খানমের স্বাক্ষরে সারা দেশের ২৭১টি কলেজ সরকারি করার আদেশ জারির পরে আর্থিক বিষয় কীভাবে পরিচালনা করবেন।
নন-এমপিও শিক্ষকদের কলেজ তহবিল থেকে  বেতন-বোনাস দেয়া যাবে কিনা। অধ্যক্ষরা এ ধরনের নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। সরকারি হওয়ার আগে গভর্নিং বডির নির্দেশে কলেজগুলো পরিচালিত হতো। শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি আত্তীকৃত না হওয়া পর্যন্ত গভর্নিং বডি সচল থাকবে কিনা? কীভাবে চলবেন, সে বিষয়ে সরকার সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিচ্ছে না। ফলে কলেজগুলোর প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে এক ধরনের স্থবিরতা নেমে এসেছে। এসব বিষয়ে সমাধান দিতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা হিমশিম খাচ্ছেন।

গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বেসরকারি কলেজ শাখায় গিয়ে দেখা যায়, একজন উপ-সচিবের নেতৃত্বে শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন সময়ে স্কুল-কলেজ সরকারি করার কাগজপত্র ঘাঁটাঘাঁটি করছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব নাছিমা খানম বলেন, সদ্য সরকারি হওয়া কলেজের আর্থিক ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউএনও এবং অধ্যক্ষকে দায়িত্ব দেয়া হবে। উভয়ের দ্বৈত স্বাক্ষরে আর্থিক বিষয় পরিচালিত হবে। জিও জারির পর কোনো শিক্ষককে কলেজ তহবিল থেকে বেতন বা বোনাস দেয়া যাবে না। তাদের চাকরি আত্তীকৃত হলে এরিয়াসহ বেতন-বোনাস পাবেন। তবে ৮ই আগস্টের আগে বেতন পাওনা থাকলে কলেজের তহবিল থেকে দেয়া যাবে।

কলেজ সরকারি হওয়ার পরে কেন নির্দেশনা দেয়া হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো শিক্ষক মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে আবেদন করেনি। আমরা ২০০০ সালের আত্তীকৃত বিধিমালা ও বেসরকারি স্কুল সরকারি হওয়ার পরে কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে এসব পর্যালোচনা করে একটি নির্দেশনা প্রস্তুত করছি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগে সরকারি করা ৪০টি কলেজ যেভাবে বর্তমানে পরিচালিত হচ্ছে নতুন সরকারি করা কলেজগুলো একই ভাবে পরিচালিত হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর