× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মন্ত্রিসভায় উঠছে আজ /আলোর মুখ দেখছে সরকারি চাকরি আইন

এক্সক্লুসিভ

দীন ইসলাম
২০ আগস্ট ২০১৮, সোমবার

অনেক যাচাই-বাছাইয়ের পর ‘সরকারি কর্মচারী আইন’-এর নাম পরিবর্তন করে হয়েছে সরকারি চাকরি আইন। টানা দশ বছর ধরে ঘষামাজার পর আইনটি আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠেয় মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি আইন’ অনুমোদনের জন্য জন্য উঠবে। নতুন খসড়া আইনের ৪১ ধারার উপধারা (১)-এ বলা আছে, ‘কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ার আগে তাকে গ্রেপ্তার করতে হলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে। চাকরি আইনের ৪২ ধারায় ফৌজদারি মামলায় দ-িত কর্মচারীর ক্ষেত্রে ব্যবস্থা সংক্রান্ত উপধারা (১) এ বলা হয়েছে, ‘কোনো সরকারি কর্মচারী ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক মৃত্যুদ- বা ১ (এক) বছর মেয়াদের অধিক মেয়াদের কারাদ-ে দ-িত হইলে, উক্ত দ- আরোপের রায় বা আদেশ প্রদানের তারিখ থেকে চাকরি থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত হবেন। একই ধারার (২) উপধারায় বলা হয়েছে, কোনো সরকারি-কর্মচারী ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অনূর্ধ্ব এক বছর মেয়াদের কোনো কারাদ- বা অর্থদ- বা উভয় দ-ে দ-িত হলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাকে তিরস্কার, নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিতকরণ, নিম্ন পদ বা নিম্নতর বেতন স্কেলে অবনমিতকরণ বা সরকারি সম্পত্তি ক্ষতিসাধন পূরণের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের শাস্তির ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, আদালত কর্তৃক কারাদ-ে দ-িত বা চাকরি হইতে বরখাস্তকৃত কোনো ব্যক্তিকে অনুরূপ বরখাস্ত হইতে অব্যাহতি প্রদানের বিশেষ কারণ বা পরিস্থিতি রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি উক্ত ব্যক্তিকে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবেন এবং অনুরূপ আদেশ প্রদান করা হইলে উক্ত কর্মচারী চাকরিতে পুনর্বহাল হইবেন। সরকারি চাকরি আইনের ৩৫ ধারায় বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ধারা ৩২ বা ধারা ৩৩ এর উপধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না।
এদিকে সরকারি কর্মচারী আইন এক যুগ ধরে ঘুরপাক খাচ্ছে। ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় এ ধরনের একটি আইন প্রণয়নে জোরালো পদক্ষেপ নেয়া হয়। কিন্তু শেষমেশ সেটি না করে নীতিনির্ধারণী বিষয় হওয়ায় তা নির্বাচিত সরকারের জন্য রেখে যায়। অবশ্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে এ আইনটির ওপর গুরুত্ব দেয়। কেননা সংবিধানের বাধ্যবাধকতার কথা উল্লেখ করে গণকর্মচারীদের জন্য আইনটি করার ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে প্রশাসন সংস্কারের অন্যতম প্রতিশ্রুতি হিসেবে তুলে ধরে। প্রথমে সিভিল সার্ভিস অ্যাক্ট নামে আইন করার কথা বলা হলেও পরে কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বিশেষে সবার জন্য সরকার কর্মচারী আইন প্রণয়নে ঐকমত্য হয়। শুরু হয় সব পর্যায়ের স্টেকহোল্ডারদের মতামত গ্রহণ। এতেই পার হয়ে যায় ৫ বছর। ২০১৫ সালের ১৩ই জুলাই আইনটির খসড়া মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হলে নীতিগত অনুমোদন দিয়ে ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপর শুরু হয় নানাভাবে ঘষামাজা পর্ব। সরকারি কর্মচারী আইন-২০১৫ দিয়ে শুরু হয় এর যাত্রা। প্রতি বছর সাল পরিবর্তন হলে এখন নামকরণ করা হয়েছে সরকারি কর্মচারী আইন-২০১৮। সর্বশেষ এটি সরকারি চাকরি আইন করা হয়েছে। এ আইনটি আজ অনুমোদনের জন্য উঠবে। অনুমোদন মিললে তা জাতীয় সংসদে বিল আকারে উত্থাপন করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর