× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

১২৭ বছরের পুরোনো ‘কোক’ কি আগের মতোই আছে?

রকমারি


২৭ আগস্ট ২০১৮, সোমবার

এ যুগে যখন প্রতিটি খাবার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতায় মেতেছে, তখন ‘কোকাকোলা’-র আবেদন কিন্তু একটুও কমেনি৷ যুক্তরাষ্ট্রে বড় বড় সুপার মার্কেট থেকে বাড়ির পাশের ছোট দোকানটাতে এর সহজলভ্যতাই বুঝিয়ে দেয় তার কতটা চাহিদা৷

 ‘হাফ-সার্কেল, ফুল-সার্কেল, হাফ-সার্কেল, এ; হাফ-সার্কেল, ফুল-সার্কেল, রাইট-অ্যাঙ্গেল, এ' – কী বলুন তো সেটা? হমমমম্, বলছি ‘কোকাকোলা'-র কথা৷

কোক, পেপসি আর কেএফসি – শোনা যায়, এগুলো তৈরির রেসিপি সবার অজানা৷ রেসিপি যাতে কেউ ঘুণাক্ষরেও জানতে না পারে সেজন্য আছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷

যদিও অনেকেই বলেন যে, কয়েক বছরের মধ্যে কোকের স্বাদে ভিন্নতা এসেছে, কিন্তু কোম্পানিগুলো তাদের কথায় অটল৷ তবে ফুড টেকনোলজিস্ট ইনস্টিটিউটের সভাপতি জন রাফ বললেন, ‘‘এটা আসলে একটা পৌরাণিক গল্পের মতো৷ এতবছর ধরে এসব খাদ্যের ফর্মুলায় পরিবর্তন না হওয়াটা একেবারেই অসম্ভব৷''

 কেএফসি-র ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার৷ তারা বলে আসছে, ১৯৪০ সালে কর্নেল হারল্যান্ড স্যান্ডার্স যে রেসিপিতে কেএফসি-র খাবার তৈরি করেছিলেন, এখনও তা মেনেই তৈরি করা হয় খাবার৷

২০০৯ সালে হঠাৎ করেই কেএফসি কর্তৃপক্ষের মনে হলো, হাতে লেখা রেসিপিটি ভালোমতো সংরক্ষণ করা জরুরি৷ ৭৭০ পাউন্ডের সিন্দুকে কড়া নিরাপত্তায় রেখে দিল এটিকে৷

তবে ১৯৬৪ সালে যখন কেএফসি হাত বদল হয়, তখন তার রেসিপিতে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে এক বইতে লিখেছেন স্যান্ডর্স-এর এক বন্ধু৷ তিনি লিখেছেন, মুরগি ভাজার পদ্ধতিতে যে পরিবর্তন আনা হয়েছিল, তাতে বেশ চটেছিলেন স্যান্ডার্স৷

আবার আসি কোকাকোলা-র কথায়৷ অ্যামেরিকার এক নম্বর পানীয় বলা হয় কোকাকোলা আর দুই নম্বর ধরা হয় পেপসিকো-কে৷ ১৯৯৪ সালে সিক্রেট ফর্মুলা নামে ফ্রেডেরিক অ্যালেন যে বইটি লিখেছেন, তা পড়লে একটু চমকে যেতে হয়৷ বইটিতে তিনি কোকাকোলা কোম্পানির সাবেক নির্বাহীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন৷ সেইসাথে কোকাকোলার আর্কাইভ ঘাঁটার সৌভাগ্য হয়েছিল তার৷ এগুলো বিশ্লেষণ করে তিনি দেখলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে কোকাকোলার ফর্মুলাতে অনেকবার পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং উপকরণ হিসেবে এতে কোকেন ব্যবহার করা হয়৷

 এই বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর অবশ্য কোকাকোলা কোম্পানি একটি ই-মেলে ঘোষণা দেয়, ১৮৮৬ সালে কোকাকোলা যখন আবিষ্কার হয়, তখন থেকে এ পর্যন্ত এর রেসিপিতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি এবং এতে কোনো কোকেন ব্যবহার করা হয় না৷

পেপসিকো-র ক্ষেত্রে অবশ্য ঘটনা কিছুটা ভিন্ন৷ ১৮৯০ এর শেষের দিকে পেপসিকো তৈরি হয়৷ কিন্তু ১৯৩১ সালে নতুন মালিক আগের স্বাদ পছন্দ না করায় এর স্বাদে ভিন্নতা আনা হয়, যার ফলে বেশ মিষ্টি স্বাদ হয়৷

১৯৮০-র দশকে কোকাকোলা ও পেপসিকো-তে কর্ন সিরাপ, চিনি এবং ক্যারামেল যোগ করা হয়৷ তবে এতে মূল ফর্মুলার কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে দাবি করেছে দুই কোম্পানি এবং তারা এখনও প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে, পুরোনো রেসিপিতেই বানানো হচ্ছে এসব সোডা৷

গত ১২৭ বছর ধরে কোক বানানোর রেসিপি একটি ইস্পাতের ভল্টে রেখে দেয়া হয়েছে৷ এর আশপাশে সবসময় জ্বলতে থাকে লাল রঙের নিরাপত্তা আলো৷ গোপনীয়তা রক্ষার্থে সব সময় চোখ রাখছে বেশ কয়েকটি ক্যামেরা৷ তবে আটলান্টার কোক জাদুঘরে গেলে ক্ষণিকের জন্য দেখা মেলে এই রেসিপির, তবে তা এমন আলো আঁধারি আর ধোঁয়ার মধ্যে, যে কারো সেটা বোঝার সাধ্য নেই৷

সূত্রঃ DW
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর