× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হারেও প্রাপ্তি যেখানে

ষোলো আনা

শাহনেওয়াজ বাবলু, নীলফামারী থেকে ফিরে
৩১ আগস্ট ২০১৮, শুক্রবার

প্রথমবারের মতো নীলফামারীর শেখ কামাল স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয় কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ। বুধবার এমন ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ১-০ গোলে হার দেখে বাংলাদেশ। তবে এই ম্যাচে লাল সবুজের জার্সিধারীরা হারলেও প্রাপ্তির খাতায় যোগ হয়েছে অনেক কিছু। গত এক দশক ধরে জাতীয় দল কিংবা ক্লাব পর্যায়ের ফুটবলে চলছে দর্শক খরা। কিন্তু নীলফামারীর শেখ কামাল স্টেডিয়ামে দর্শকদের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। ম্যাচের দিন সকাল থেকে শহরের অলি গলিতে শুরু হয় মিছিল ও শোভাযাত্রা। আর দুই দলকে স্বাগত জানিয়ে রাস্তার পাশে রঙ বেরঙের ব্যানার-ফেস্টুন হাতে হাজির হন শত শত ফুটবলপ্রেমী। এদিন ম্যাচ শুরুর ৩ ঘণ্টা আগেই গ্যালারি কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা ২০ হাজার হলেও মাঠে দর্শক উপস্থিতি ছিল দ্বিগুণ। এছাড়া স্টেডিয়ামের চার পাশের বাসার ছাদ ও গাছে উঠেও খেলা উপভোগ করেন অনেকে। কিন্তু এমন দর্শক সমর্থন পেয়েও দেশকে কাঙ্ক্ষিত জয় এনে দিতে পারেননি রনি-মামুনুলরা। তবে জয় না পেলেও দলের খেলা নিয়ে হতাশ নন কোচ জেমি ডে। এই হার থেকে তার দল আরো শিক্ষা নেবে বলে জানান এই ইংলিশ কোচ। সামনের সাফ চ্যাম্পিয়ন্সশিপের আগে এই ম্যাচের ভুলগুলো তার দল শুধরে নেবে বলে জানান জেমি। কয়েক বছর ধরে জাতীয় দলের খেলা এবং ক্লাব পর্যায়ের অধিকাংশ খেলা ঢাকায় হয়ে থাকে। এর ফলে দেশের ভিন্ন ভিন্ন প্রান্তের ফুটবলপ্রেমীরা গ্যালারিতে বসে খেলা দেখা থেকে বঞ্চিত হন। তাই সব সময় যদি জাতীয় দল কিংবা ঘরোয়া ফুটবলের কিছু ম্যাচ দেশের বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয়, তাহলে দেশের ও স্থানীয় ফুটবল আরো এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। নীলফামারীতে এমন আয়োজনের পর ওই জেলা তথা উত্তরবঙ্গ থেকে আরো অনেক খেলোয়াড় উঠে আসবে বলে মনে করেন তারা। ইতিমধ্যে ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন ফুটবল ক্লাব বসুন্ধরা কিংস তাদের হোম ভেন্যু হিসেবে বেছে নিয়েছে নীলফামারীর শেখ কামাল স্টেডিয়ামকে। জানা যায়, এই মাঠে এমন সফল আয়োজনের পর এখানে আরো আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের চিন্তা-ভাবনা করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।        
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর