× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা বাড়ানো হোক

ফেসবুক ডায়েরি


১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার

সরকারি চাকরিতে ঢোকার বয়স ৩৫ বছরে উন্নীত এবং অবসরের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় কমিটি আবারো এই সুপারিশ পাঠিয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। আমি সংসদীয় কমিটির উপরোক্ত সুপারিশকে স্বাগত জানাই।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা বাড়ানোর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষার্থীরা আন্দোলন পরিচালনা করে আসছিল।

আমরা জানি, দেশে দিন দিন বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলছে। বিবিএস-এর তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে প্রায় ২৭ লাখ বেকার রয়েছে (২০১৬-২০১৭); যার অর্ধেকেরও বেশি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করা চাকরি প্রত্যাশী।

আমি মনে করি, মানুষের এগিয়ে যেতে বয়স কোনো বাধা নয়। সম্প্রতি এমনটাই প্রমাণ করেছেন ৯২ বছর বয়সী মালয়েশিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ।

আমি মনে করি, চাকরির আবেদনের বয়সসীমা বাড়ানো হলে:
১. দেশ বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে; ২. শিক্ষিত তরুণরা নানা ধরনের অপরাধকর্ম থেকে মুক্ত থাকবে; ৩. বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও চাকরি প্রার্থীরা সমভাবে ও সম-বয়স নিয়ে প্রবেশের সুযোগ পাবে (যদিও অনেক প্রতিষ্ঠানেই বর্তমানে বাঁধা নেই); ৬. অধিকতর উচ্চশিক্ষিত ও অভিজ্ঞরা প্রজাতন্ত্রের কাজে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে এবং মেধাপাচারের সংখ্যা কমে আসবে।

পরিশেষে, আমি আশা করি, বাস্তবতা মেনে নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকার সংসদীয় কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন করবে।

(ফেসবুক থেকে)।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর