× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ছাগল যখন রাজা

ষোলো আনা

ষোলো আনা ডেস্ক
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, শুক্রবার

ছাগল, মাথায় রাজমুকুট। সঙ্গে রূপসী রাণী। হ্যাঁ তিনি রাজা। ভাবতে অদ্ভুত লাগলেও এমনটাই হয়ে আসছে আয়ারল্যান্ডজুড়ে। এই ছাগল তার রাণীর সঙ্গে রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছে এবং দেশের বাসিন্দারা সম্মানের সঙ্গে কুর্নিশ করছে। এরপর রাজদরবারে বসেন রাণীর সঙ্গে। সেখানে বর দেন তার প্রজাদের। প্রজারাও বর নিয়ে মাথা ঠেকিয়ে চলে যান।
এমনই রাজ কপাল এই ছাগলের, তিনি আয়ারল্যান্ডের কিলোরগন শহরের রাজা। রাজার সিংহাসনে অধিষ্ঠান উপলক্ষে শহরজুড়ে সপ্তাহব্যাপী চলে উৎসব।

আলোয় আলাকিত হয়ে যায় পুরো শহর। থাকে কনসার্ট, নাটক, মেলা ইত্যাদি আয়োজন। কিলোরগনের অধিবাসীদের পূর্বে উৎসব প্রচলিত থাকলেও বর্তমানে তা ছড়িয়ে গেছে সবার মাঝে।

উৎসবটিকে বলা হয় ‘পাক ফেয়ার’ এবং রাজাকে ডাকা হয় ‘কিং পাক’। কিন্তু কেন এই উৎসব? অনেক গল্পে রঞ্জিত ইতিহাস হলেও বহুল প্রচলিত গল্পটি হচ্ছে, সপ্তদশ শতাব্দীতে আয়ারল্যান্ডের রাজা ছিলেন অলিভার করমওয়েল।

তিনি বাস করতেন এই শহরে। এক ফসল কাটার উৎসবে অংশ নেয়ার সময় রাজার পোষা ও প্রিয় ছাগল হারিয়ে যায় পাহাড়ে। নিঃসন্তান সেই রাজা ছাগলটিকে সন্তানের মতো পালন করতেন। সন্তান সমতুল্য ছাগল হারানোর শোকে অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজা। এই অসুস্থতাই তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। সেই ছাগল স্মরণে প্রতি বছর পাহাড় থেকে বন্য ছাগল ধরে এনে পাক ফেয়ারের মাধ্যমে তাকে রাজা বানানো হয়।

প্রতি বছর আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই উৎসব শুরু হয়ে চলে সাত দিন পর্যন্ত। এই সপ্তাহ ছাগল রাজার মতোই আয়েশি ও সম্মানের জীবনযাপন করে। সাত দিন পার হওয়ার পর রাজত্ব ও রাণী হারালেও রয়ে যায় রাজার রেশ। সেই বন্য ছাগল পায় রাষ্ট্রীয় বিশেষ অতিথিশালায় থাকার সুযোগ। মৃত্যু পর্যন্ত আয়েশিভাবেই শেষ হয় সেসব ছাগলের জীবন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর