× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অভিযুক্ত বাংলাদেশ ব্যাংক হ্যাকারের ‘অস্তিত্বই নেই’: উত্তর কোরিয়া

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮, শনিবার, ১০:১৫ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ ব্যাংক হ্যাক করে ৮১ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেওয়া সহ একাধিক আলোচিত হ্যাকিং-এর নেপথ্যে উত্তর কোরিয়ার যে নাগরিক রয়েছে বলে অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র, তার কোনো অস্তিত্বই নেই বলে দাবি করেছে কোরিয়ান কর্তৃপক্ষ। দেশটি বলেছে, এ ধরণের অভিযোগ দুই দেশের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, ৬ই সেপ্টেম্বর মার্কিন আইন মন্ত্রণালয় পার্ক জিন-হ্যোক নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে। কথিত ওই উত্তর কোরিয়ান নাগরিকের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে একাধিক ধ্বংসাত্মক সাইবার হামলার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ২০১৪ সালের সনি পিকচার্সে চালানো সাইবার আক্রমণও রয়েছে। অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য বিভাগের নেটওয়ার্ক বিকল করে দিতে যে ভাইরাস ব্যবহৃত হয়েছিল, সেটিও তার বানানো। সে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে হ্যাকিং-এর মাধ্যমে ৮১ মিলিয়ন ডলার লোপাট করা, দক্ষিণ কোরিয়ার ভার্চুয়াল মুদ্রা বিনিময় কোম্পানির নেটওয়ার্কে আক্রমণ করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়া সহ বেশ কয়েকটি আলোচিত অপরাধের প্রধান সন্দেহভাজন।
মার্কিন রাজস্ব বিভাগ পার্ক জিন-হ্যোকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে।
সে ল্যাব ১১০ নামে উত্তর কোরিয়ার অন্যতম হ্যাকিং সংস্থার সঙ্গে জড়িত। ল্যাব ১১০ আবার লেজারাস গ্রুপ নামেও পরিচিত।
তবে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম কেসিএনএ-তে প্রকাশিত দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মন্তব্য নিবন্ধে বলা হয়েছে, পার্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো ‘বিদ্বেষপূর্ণ সম্মানহানি এবং মিথ্যা ও কাল্পনিক তথ্যে ভরপুর প্রচারণা যার উদ্দেশ্য উত্তর কোরিয়াকে খাটো করা।’
ওই নিবন্ধে বলা হয়, অভিযুক্ত পার্ক জিন-হ্যোক একজন অস্তিত্বহীন ব্যক্তিবিশেষ। পাশাপাশি, আইন মন্ত্রণালয় যেসব সাইবার অপরাধের কথা উল্লেখ করেছে, তার সঙ্গে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
এতে আরও বলা হয়, ‘অস্তিত্বহীন ওই অপরাধী ও তার কথিত সাইবার অপরাধকে আমাদের রাষ্ট্রীয় সংস্থার সঙ্গে জোর করে মেলানোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে চায়।’ ল্যাব ১০১-এর বহিঃসংগঠন হিসেবে কথিত কোরিয়া এক্সপো জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানির বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপকে ‘প্রহসন’ বলেও আখ্যা দেওয়া হয় ওই নিবন্ধে। এই বছরের জুনে দুই দেশের নেতা সম্পর্ক কীভাবে ভালো করা যায় তা নিয়ে বৈঠকও করেন। সেই প্রসঙ্গ তুলে ওই নিবন্ধে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের এসব মিথ্যা অভিযোগ সেই প্রচেষ্টায় প্রভাব ফেলবে।
তবে উত্তর কোরিয়া যদিও বলছে ওই ব্যক্তির অস্তিত্বই নেই, মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই ওই অভিযুক্তের একটি ছবিও প্রকাশ করেছে।
ধারণা করা হয়, উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় হ্যাকিং গ্রুপগুলো দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা আনতে হ্যাকিং কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের কড়া অবরোধ বলবৎ থাকায় কার্যত অর্থ সংকটে ভুগছে উত্তর কোরিয়া।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পার্ক জিন-হ্যোক নামে ওই ব্যক্তি মার্কিন আদালতে বিচারের মুখোমুখি হবে, এমন সম্ভাবনা কম। উত্তর কোরিয়া বিশেষজ্ঞ মার্টিন উইলিয়ামস বলেন, এটি মূলত প্রতীকী পদক্ষেপ। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সাইবার হামলার যেসব অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে, সেগুলোকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর