× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সংলাপ: কে শুরু করবে ভারত না পাকিস্তান!

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮, শনিবার, ২:৪১ পূর্বাহ্ন

তেহরিক-ই ইনসাফের প্রধান ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী নয়াদিল্লী ও ইসলামাবাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বৈরী সম্পর্কের অবসান ঘটানো বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দু’বছর আগে ২০১৫ সালে দু’দেশ সংলাপে বসার ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। এর পরে উভয়পক্ষের মধ্যকার বৈরি সম্পর্কের কোন পরিবর্তন ঘটেনি। এমন অবস্থায় বহুল আলোচিত করতারপুর সীমান্ত খুলে দিলে উভয়পক্ষের কাছে তা হবে পারস্পরিক আস্থা অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তবে সীমান্ত খোলার ক্ষেত্রে দু’দেশই চায় যে, প্রথমে অপরপক্ষ আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নিক। শিখ ধর্মাবলম্বী ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের জন্য করতারপুর সীমান্ত খুলে দেয়া খুবই জরুরী। কেননা এর ফলে তারা পাকিস্তানে অবস্থিত গুরুদুয়ারা দরবার সাহিবে উপাসনা করার সুযোগ পাবে।
এর আগে ইমরান খান বলেছিলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারত এক কদম অগ্রসর হলে পাকিস্তান দুই কদম এগিয়ে যাবে।
এই আহবানে ভারতও আন্তরিকভাবে সাড়া দেয়। দেশটি পারস্পরিক সম্পর্ক আরো জোরদার হওয়ার আশা প্রকাশ করে। সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সিতারমন বলেন, ভারত যে কোন সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার জন্য সন্ত্রাসবাদের উন্নতি প্রত্যাশা করে।
আর এ মাসে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, পাকিস্তান দ্রুতই সীমান্ত খুলে দেবে। একই সঙ্গে ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের ভিসামুক্ত ভ্রমণ সুবিধা দেয়ার ঘোষণা দেন তিনি। ভারতের কয়েকটি সূত্র বলছে, তারা এখনো পাকিস্তান সরকারের পদক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছেন। যদিও ইসলামাবাদ বলছে, ভারত তাদের প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। আর দিল্লীর দাবি, তারা কিছু সময়ের জন্য সীমান্ত খুলে দিতে পাকিস্তানকে অনুরোধ করেছে। পাকিস্তান যদি এই অনুরোধে সাড়া দেয়, তাহলে ভারতের জন্য এটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা এ পদক্ষেপ নেয়ার অর্থ হলো, পাকিস্তানের নতুন সরকার আসলেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী।  তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলেছে, ‘আমরা এমন কোন প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমে বিবৃতি দিতে পারি না, যা প্রকৃতপক্ষে আমাদের দেয়াই হয়নি।’
এদিকে, এ মাসে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশির সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। মূলত, করতারপুর সীমান্ত খুলে দেয়ার ক্ষেত্রে  দুই দেশ একই সমস্যার মুখে রয়েছে। তা হলো, কোন দলই আগে পদক্ষেপ নিতে চায় না। আগ বাড়িয়ে অপরপক্ষকে কোন বৈঠকের অনুরোধ করতে চায় না। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে কিভাবে সীমান্তু খুলে দেয়ার ইস্যুটি এগিয়ে নেয়া যায়, সে বিষয়ে পাকিস্তান ভারতের বিবৃতিতের অপেক্ষায় রয়েছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে সার্ক ও কমনওয়েলথের দুইটি বৈঠকে উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা উপস্থিত থাকবেন। সেখানেও উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হতে পারে।

তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীর বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবের মন্ত্রী নভজত সিং সিধু কেন্দ্র সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে লিখেছেন, এ ধরণের স্পর্শকাতর বিষয়ে ভারতের ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
ওদিকে, ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের ২+২ বিবৃতির প্রতি বেশ দক্ষ মনোভাব দেখিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের ভূখন্ড ব্যবহার করে কোন গোষ্ঠী যেন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে না পারে  সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য ওই বিবৃতিতে পাকিস্তানের প্রতি আহবান জানায় ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। পাকিস্তান ওই বিবৃতিকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখান করে। ইসলামাবদের পক্ষ থেকে বলা হয়, পাকিস্তান সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থানের বিষয়ে পূর্বেই যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর