কুয়েতি টিভি উপস্থাপক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তারকা হালিমা বোল্যান্ড রিয়াদের একটি হোটেলে উঠে দেখতে পান তার কক্ষে প্রায় ৩০ লাখ রিয়াল বা ৮ লাখ ডলার (৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা) সমমূল্যের বিলাসবহুল উপহার পাঠানো হয়েছে। আশ্চর্য্যের বিষয় হলো, এই উপহার নাকি পাঠিয়েছেন স্বয়ং সৌদি বাদশাহ! বোল্যান্ড যখন এই উপহারের ভিডিও নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করেন, তখন যেন তোলপাড় শুরু হয়। এ খবর দিয়েছে আল আরাবি ওয়েবসাইট।
মঙ্গলবার অবশ্য সৌদি কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় ৩ ব্যক্তিকে আটক করেছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সৌদি বাদশাহর নামে তারা প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন।
৩৭ বছর বয়সী বোল্যান্ডের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ৩৫ লাখ অনুসারী রয়েছে। সোমবার তিনি যখন অজস্র উপহারের বক্স খুলছিলেন তখন তা ভক্তদের জন্য সরাসরি সম্প্রচার করেন। বক্সের ভেতরে দেখা যায় বিলাসবহুল অলঙ্কার, ফুল আর কাপড়। এরপর হোটেলের দরজা খুলেই তিনি দেখতে পান একজন স্টাফ একটি ট্রলি নিয়ে আসছেন, যেখানে রয়েছে আরও উপহার! এর একটি বক্সে শুধু কয়েক ডজন সুগন্ধীর বোতলই ছিল।
সেখানে খোদাই করা ছিল তার নাম।
বক্সের ভেতর একটি বার্তাও ছিল। যেখানে লেখা: ‘হালিমা, আবদুলজলিল বোল্যান্ড, বিশ্বের সেরা সুন্দরী যার পদানত থাকবে সারা দুনিয়া।’
ভিডিওতে দেখা যায়, বক্সের ভেতরে একটি চিঠি আছে, যেখানে সৌদি বাদশাহর সিলমোহর অঙ্কিত। এর পরপরই সৌদি আরবে টুইটার হ্যাশট্যাগ শুরু হয়, ‘হালিমাকে উপহার পাঠিয়েছেন বাদশাহ’ (দ্য কিং গিভস গিফটস টু হালিমা)। পাশাপাশি, বহুমূল্যের ওই উপহার ও সৌদি রাজপরিবারের দুর্নীতি নিয়ে অনেকে ব্যাঙ্গাত্মক টুইট করেন।
আমিরাতের একটি সংবাদ ভিত্তিক চ্যানেল জানিয়েছে, এই ঘটনায় তিন ব্যক্তিকে আটক করেছে সৌদি পুলিশ। এদের একজন সৌদি, আরেকজন লেবানিজ আর তৃতীয়জন ভারতীয় নাগরিক। সৌদি বাদশাহ এই উপহার না পাঠিয়ে থাকলে, কে প্রকৃতপক্ষে এই উপহার পাঠিয়েছেন তা নিয়ে বোল্যান্ড বা সৌদি কর্তৃপক্ষ - কেউই কোনো বিবৃতি দেয়নি।
সাধারণ কেউ এই উপহার পাঠাননি, তা স্পষ্ট। কিন্তু কেনইবা অন্য কেউ লাখ লাখ রিয়াল সমমূল্যের উপহার একজন নারীকে পাঠাবেন, সেটি এখনও রহস্য।