× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ওজোন স্তর রক্ষায় প্রয়োজন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির পণ্য উৎপাদন

এক্সক্লুসিভ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, সোমবার

ওজোন স্তরের ক্ষয়রোধ এবং বৈশ্বিক জলবায়ুর উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহারের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন পরিবেশবাদী বিশেষজ্ঞরা। গতকাল রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘ওজোন স্তর এবং বাংলাদেশ’- শীর্ষক বিশেষ সেমিনারে এই পরামর্শ দেন বক্তারা। ‘বিশ্ব ওজোন দিবস’ উপলক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী। পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সুলতান আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- ওয়ালটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম মাহবুবুল আলম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এসএম মঞ্জুরুল হান্নান খান, পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী সারোয়ার ইমতিয়াজ হাশমী, ইউএনডিপি’র প্রতিনিধি মো. আরিফ ফয়সাল ও বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এমএএ শওকত চৌধুরী। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আম্বিয়া। সঞ্চালক ছিলেন ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম। সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী বলেন, ওজোন স্তর রক্ষা এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে যথাযথ সময়মতো পদক্ষেপ নিতে না পারলে পৃথিবীকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
এক্ষেত্রে তিনি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি জনসাধারণের মধ্যে এসব পণ্য ব্যবহারের প্রতি সচেতনতা তৈরির পরামর্শ দেন। ওয়ালটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম মাহবুবুল আলম জানান, ওয়ালটন অনেক আগে থেকেই ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির ফ্রিজ, এসি তৈরি করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখনো রেফ্রিজারেটর এবং এয়ার কন্ডিশনারের স্টার রেটিং চালু হয়নি। তাই অসংখ্য নিম্নমানের ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর রেফ্রিজারেটর ও এসি বাজারে আসছে। এতে ব্যাপক পরিমাণে বিদ্যুৎ অপচয় হচ্ছে। পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। তিনি অতি দ্রুত স্টার রেটিং পদ্ধতি চালুর আহ্বান জানান। অতিরিক্ত সচিব ড. এসএম মঞ্জুরুল হান্নান খান ইলেকট্রনিক্স পণ্য রিসাইক্লিং করার উপর জোর দেন। মূল প্রবন্ধে আশরাফুল আম্বিয়া বলেন, ওজোন স্তর রক্ষা এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী অ্যাপ্লায়েন্সেস উৎপাদন করতে ওয়ালটনের গ্রীন কুলিং টেকনোলজিসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি ফ্রিজ, এসি’র গায়ে এর্নাজিং রেটিং বাধ্যতামূলক করার দাবি জানান। আলোচনায় বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এমএএ শওকত চৌধুরী ইনভার্টার প্রযুক্তির পণ্য ব্যবহারের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, এতে একদিকে গ্রাহকের বিদ্যুৎ খরচ যেমন কম হয়, অন্যদিকে এই প্রযুক্তির পণ্য টেকেও বেশি। সেমিনারে বক্তারা বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য শুধু অবকাঠামো নয়, পরিবেশগত উন্নয়নেও গুরুত্ব দিতে হবে। আগামী প্রজন্মকে সুস্থ্য সুন্দর রাখতে পরিবেশকে রক্ষা করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর