নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় মেঘনা ও মেনিখালী নদীতে ভরাট, দখল ও নির্মাণকাজে স্থিতাবস্থা জারির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত দুটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ৯ই সেপ্টেম্বর হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)’র পক্ষে আইনজীবী রিপন বাড়ৈ হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করেন।
আদেশের পর মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের জানান, আদালত রুল জারিসহ মেঘনা-মেনিখালী নদী দখল, ভরাট ও নির্মাণকাজে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসককে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। কমিটিকে সংশ্লিষ্ট এলাকা জরিপের মাধ্যমে দখলকারীদের নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হবে ওই কমিটিকে। নদী দখল বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন বে-আইনি ঘোষণা করা হবে না এবং ভরাট করা মাটি ও স্থাপনা অপসারণের জন্য কেন নির্দেশ দেয়া হবে না রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও সিএস-আরএস রেকর্ড অনুযায়ী নদী দুটিকে সংরক্ষণের জন্য কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
পরিবেশ সচিব, পানি সম্পদ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিটিএ) চেয়ারম্যান, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ ১২ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে আদেশে।