বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র’র (আসক) সুপারিশে অনলাইনে যৌন হয়রানির বিষয়টি শিক্ষা পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষামন্ত্রণালয়। গতকাল বিকালে এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উচ্চপর্যায়ের একটি সভা হয়েছে। সভা শেষে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর আবদুল মান্নান মানবজমিনকে বলেন, একটি বেসরকারি সংস্থা এ বিষয়টি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে।
আমরা তাদের কাছে পূর্ণাঙ্গ বিষয়বস্তু জানতে চেয়েছি। তারা দেয়ার পর আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে কীভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে তা যাচাই বাছাই করে দেখবে এনসিসিটি। তিনি বলেন, বাস্তবতার আলোকে তা অন্তর্ভুক্ত করা যায়। কারণ এখন সব ছেলে মেয়েদের হাতে ইন্টারনেট সংযোগসহ স্মার্ট ফোন থাকে। এক্ষেত্রে তাদের যদি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থাকে তাহলে এসব সাইটে হিসেব নিকেশ করে ঢুকবে।
এনসিটিবির সদস্য (কারিকুলাম) প্রফেসর মশিউজ্জামান বলেন, তারা (বেসরকারি সংস্থা) প্রস্তাব দিয়েছে।
আমরা বলেছি, শিক্ষামন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমাদের কাছে প্রস্তাব আসার পর তা নিয়ে এনসিটিবিতে বৈঠকে তা নির্ধারিত হবে। জানা গেছে, অনলাইনে যৌন হয়রানির বিষয়টি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে আইন ও সালিশ কেন্দ্র এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব দিয়েছে শিক্ষামন্ত্রণালয়ে। তার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মন্ত্রণালয়ে সভা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-১) ড. মো. মাহামুদ-উল-হকের সভাপতিত্বে সভা হয়েছে। তাতে উপ-সচিব আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন, আইন ও আসকের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।