× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্দলীয় সরকারের দাবি অসাংবিধানিক

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, সোমবার

প্রতিবেশী দেশগুলোসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, ঠিক সেভাবেই আমাদের দেশেও নির্বাচন হবে। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। গতকাল ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) কাউন্সিল হলে সংগঠনটির ৪১তম কাউন্সিল অধিবেশনে  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সংসদ ভেঙে নির্দলীয় সরকার গঠন, বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্যের দাবি অপ্রাসঙ্গিক, অবান্তর, অপ্রয়োজনীয় ও অসাংবিধানিক। এখন সংসদ ভেঙে নির্দলীয় সরকার করার তো প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন, এক-দেড় মাস বাকি আছে। এখন মামাবাড়ির আবদার করলে তো চলবে না।
সংসদের শেষ অধিবেশন অক্টোবর মাসের ২০ তারিখের আগেই শেষ হয়ে যাবে। এরপর আর নির্বাচন পর্যন্ত সংসদ বসবে না। এই সংসদের সদস্যদের কোনো ক্ষমতা ও কার্যকারিতা থাকবে না। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের বিকল্প কি? আমাদের বিকল্প হচ্ছে সামপ্রদায়িক অপশক্তি। যাদের দুঃশাসনে ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ছিল। অনেক অত্যাচার, নির্যাতন করেছে, ব্যাড পলিটিক্স ছিল।

সেই নির্যাতন ও অন্ধকারে কি কেউ ফিরে যেতে চান? আমরা মনে করি না আমাদের সবকিছু শুদ্ধ, আমাদের ভুলত্রুটিও আছে, কিন্তু ভুলত্রুটি সংশোধনের সৎ সাহস শেখ হাসিনার রয়েছে। দলের মধ্যে কেউ অন্যায় করলে তাকে আমরা শাস্তি দেই। কিন্তু আমাদের বিকল্প যাদের ভাবেন, তারা তো নিজেদের লোকদের শাসন করেননি। জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে না, এটা আমরা বলবো না। প্রয়োজন হলে সেনা মোতায়েন হবে। যদি সময় এবং পরিস্থিতিতে মোতায়েন করার দরকার হয়, সেই অবস্থায় নির্বাচন কমিশন অনুরোধ করলে, সরকার প্রয়োজনে এবং বাস্তব পরিস্থিতির আলোকে কীভাবে মোতায়েন হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের সময় এখন নেই। এখানে তো বিএনপিরও প্রতিনিধি রয়েছে। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই প্রেসিডেন্ট এ নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে। যুক্তফ্রন্টের পাঁচ দফা বিএনপির দাবির সঙ্গে মিলে গেছে কিনা সাংবাদিকদের এমন লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা মিলে গেল কিনা তা দেখা আমাদের কোনো বিষয় না। বিএনপি কার সঙ্গে যাবে, কীভাবে যাবে- তা আমাদের বিষয় না। আমরা গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পেরেছি যুক্তফ্রন্টের নেতারা বলেছেন, বিএনপির প্রধান মিত্র জামায়াতে ইসলামী থাকলে, তারা বিএনপির সঙ্গে যাবে না। এখানে তো আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। তবে নতুন নতুন জোট হলে স্বাগত, শত ফুল ফুটুক। গণতন্ত্র তো, অসুবিধা নেই। নতুন নতুন জোট হোক, নির্বাচন করুক।

বিএনপি মহাসচিবের যুক্তরাষ্ট্র সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাহস থাকলে জনগণের কাছে নালিশ করুন। বিদেশে গিয়ে নালিশ করে দেশকে কেন খাটো করছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের আমন্ত্রণ, বাস্তবে দেখা গেল এমন কোনো আমন্ত্রণ নেই। কি রকম তারা প্রতারণা করে, রাজনীতিতে ছদ্মবেশী প্রতারণা পার্টির নাম বিএনপি। বিএনপি এখন বিদেশিদের কাছে ‘বাংলাদেশ কান্নাকাটি পার্টি’ হয়ে গেছে। বিএনপি নির্বাচনে না এলে যুক্তফ্রন্টই বিএনপির বিকল্প কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সেটা আমরা জানি না। তবে আমরা জানি, বিএনপি না এলেও এবার প্রতিদ্বন্দ্বীর অভাব নাই, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফাঁদ তৈরির কোনো সুযোগ নেই।

সবাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই এবার নির্বাচিত হবে। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা কি যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া, আফগানিস্তান, সোমালিয়া, আমরা কি সাউথ সুদান, কঙ্গো, ইরাক, আমরা কি জিম্বাবুয়ে? বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে সংবিধান অনুসারেই নির্বাচন পরিচালিত হবে। এখানে কোনো ব্যত্যয় করার সুযোগ নেই। শেখ হাসিনার সরকারই তত্ত্বাবধান করবে এবং নির্বাচন কমিশনই এ নির্বাচন পরিচালনা করবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শনিবার গণভবনে আমাদের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বলেছেন সভা-সমাবেশ করার ব্যাপারে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান যাতে সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে, একথা পুলিশ কমিশনারকে জানিয়ে দিতে। তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। আজকে আমি পুলিশ কমিশনারকে জানিয়ে দিয়েছি রাস্তাঘাট বন্ধ করে, পল্টনে রাস্তা বন্ধ করে, প্রেস ক্লাবের সামনে যেন সমাবেশ না করে। এসবের প্রয়োজন নেই।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান উন্মুক্ত, যারাই অনুমতি চাইবে পুলিশ অনুমতি দেবে। এ ব্যাপারে সরকারের কোনো বাধা ছিল না। পুলিশ নিরাপত্তার স্বার্থে অনেক সময় অনেককেই অনুমতি দেয় না। প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার ভাষায় বলে দিয়েছেন নিবন্ধিত যেসব দল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি চাইবে, কোনো সমস্যা হবে না। সবাই অনুমতি পাবে। আইডিইবি সভাপতি একেএম হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর