× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ববিতার দাবি নিয়ে জৈন্তাপুরে তোলপাড়

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার

সিলেটের জৈন্তাপুরে ববিতার দাবি নিয়ে তোলপাড় চলছে। স্বামীর সঙ্গ ছাড়া ববিতা ৮ মাসের ‘অন্তঃসত্ত্বা’ হয়ে এলাকার দুই যুবককে এর জন্য দায়ী করেছে। বিষয়টি নিয়ে কয়েক দফা সালিশি বৈঠক হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। শেষ পর্যন্ত ববিতার পিতা রবি দাস এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর থানায় অভিযোগ করেছেন। আর এ মামলা নিয়ে পুলিশও পড়েছে বেকায়দায়। পুলিশ মামলা গ্রহণের আগে কৌতূহল নিয়ে বিষয়টি তদন্তে নেমেছে। সিলেটের জৈন্তাপুরের সীমান্তবর্তী গোয়াবাড়ি গ্রামের রবি দাসের মেয়ে ববিতার প্রায় ৮ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর সীমান্তের ওপারে ভারতের চানঘাট বস্তির বাসিন্দা শংকর নায়েকের সঙ্গে স্বামীর ঘরে চলে যান ববিতা।
সংসার জীবনে ববিতা-শংকরের ঘরে একটি ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। ওদিকে- স্বামী পেশায় গাড়ি চালক হওয়ায় কাজের সূত্রে প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। এই সুযোগে ববিতা পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে স্বামীর এলাকার কুলি সমপ্রদায়ের এক যুবকের সঙ্গে। ওই যুবকের সঙ্গে স্বামীর ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায় ববিতা। পরে সামাজিক ব্যক্তিদের মধ্যস্থতার মাধ্যমে ববিতা ফের আগের স্বামী শংকরের ঘরে ফিরে। ওখানে ফেরার পর ববিতা এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। এদিকে- প্রায় দুই বছর আগে ববিতা স্বামী শংকরকে ভারতে রেখে জৈন্তাপুরে ফিরে আসে। এরপর থেকে ববিতা তার পিতা রবি দাসের জৈন্তাপুরের গোয়াবাড়ির আদর্শ গ্রামে বসবাস করছে। মাঝে মধ্যে স্বামী শংকর তাকে নিতে জৈন্তাপুরে এলেও ববিতা যায়নি। কন্যা সন্তানকে নিয়ে সে পিতার বাড়িতেই থেকে যায়। বর্তমানে ববিতা ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু এই অন্তঃসত্ত্বার জন্য সে এখন দায়ী করছে একই এলাকার দুই যুবককে। ববিতার পিতা রবি দাস এ নিয়ে এলাকাবাসীর কাছে বিচারপ্রার্থী হন। বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বৈঠক ডাকে স্থানীয়রা। ওই বৈঠকে ববিতা গোয়াবাড়ী গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে দিলু তার সর্বনাশ করেছে বলে জানায়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে বৈঠকে থাকাবস্থায় ববিতা একই গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের প্রবাসী ছেলে সাজিদ উদ্দিনের কথাও বলে থাকে। ববিতা এক সঙ্গে দুই যুবকের নাম বলায় স্থানীয়রা গর্ভের সন্তানের পিতৃ পরিচয় নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েন। ফলে এ বিষয়টি নিয়ে তারা কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি। পরে ববিতা বাদী হয়ে প্রবাসী সাজিদের নাম উল্লেখ করে মানবাধিকার কমিশনের সিলেট অফিসের সহায়তায় জৈন্তাপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ করে। অভিযোগের পর হতে বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ববিতার গর্ভজাত সন্তানটি কার এ নিয়ে কৌতূহলের অন্ত নেই এলাকায়। ববিতার কাঠগড়ায় অভিযুক্ত দিলু জানিয়েছে- ‘আমার সঙ্গে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমি এ ঘটনায় কোনোভাবে জড়িত নই। ববিতার অতীত কর্মকাণ্ড সকলেই কম বেশি জানেন।’ সাজিদের পরিবার জানায়- আমাদের ছেলে প্রায় ৮ মাস পূর্বে গ্রামের সবাইকে জানিয়ে দেশের বাইরে গেছে। তার নাম জড়িয়ে ববিতা ফায়দা লুটতে চায় বলে জানান তারা। ববিতার পিতা রবি দাস বলেন- ‘শংকর এখানে আসলে আমি দেখিনি। তবে যেদিন তাকে দেখেছি তখন তাকে আমার বাড়িতে না আসার জন্য বলে দিয়েছি। ববিতা অন্তঃসত্ত্বা জানার পর গ্রামবাসীর কাছে জানালে তারা আমাকে ভয়ভীতি দেখান। এ কারণে আমি মেয়েকে নিয়ে মানবাধিকারের সহায়তা নিই। আমার মেয়ে বাদী হয়ে অভিযোগ করেছে।’ এ বিষয়ে ববিতা জানান- আমি আমার বাবার ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানাইনি। বিষয়টি প্রকাশ হয়ে গেলে গ্রাম্য সালিশে সাজিদের নাম বলেছি। ববিতা জানায়- আমার স্বামী শংকর যাওয়া আসা করেছে, তবে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়নি। জৈন্তাপুর থানার ওসি মাঈনুল জাকির বলেন- ‘অভিযোগ এসেছে এবং ওসিসি থেকে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত কাজ চালাচ্ছি।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর